এবার ঈদুল আজহায় সারা দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত এবং আহত হয়েছে ১ হাজার ১৮২ জন। এ ছাড়া রেলপথে ২৫ দুর্ঘটনায় ২৫ জন এবং নৌপথে ১১ দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়। সব মিলিয়ে ঈদযাত্রায় ৪১৫ দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব তথ্য তুলে ধরেন। ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি জানিয়েছে, ঈদযাত্রার শুরুর দিন ৩১ মে থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৪ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। ২০২৪ সালের ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন নিহত ও ৭৬২ জন আহত হয়েছিল। এ হিসাব বিগত ঈদুল আজহার সঙ্গে তুলনা করলে সড়ক দুর্ঘটনা ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং আহত ৫৫ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়কে দুর্ঘটনা ও মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে ঈদের আগে কমপক্ষে চার দিন ছুটি থাকা দরকার। ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। গণপরিবহন ও ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে, ছোট যানবাহন মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। প্রশিক্ষিত দক্ষ চালক, মানসম্মত সড়কের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিষয়ে কঠোর হতে হবে।’