ওষুধ, সার্জিক্যাল পণ্য ও যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং শিল্পের মধ্যবর্তী যন্ত্রাংশ খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথ উদ্যোগে আগ্রহী পাকিস্তান। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত নেটওয়ার্কিং সভায় যৌথ বাণিজ্যের কথা উঠে আসে।
সভার আয়োজন করে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মুহাম্মদ ওয়াসিফ। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল প্রমুখ।
সভায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মোটর ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এবং শিল্পের মধ্যবর্তী যন্ত্রাংশ খাত উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওষুধ, সার্জিক্যাল পণ্য ও যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইলস প্রভৃতি খাতের সম্ভাবনাও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।’ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এফবিসিসিআই এবং দি ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফপিসিসিআই) যৌথভাবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মুহাম্মদ ওয়াসিফ বলেন, ‘ব্যবসাবাণিজ্যের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কারে দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং কর্মসূচি চলমান থাকবে।’ এ সময় ওষুধ, সার্জিক্যাল পণ্য, যন্ত্রাংশসহ ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং শিল্পের মধ্যবর্তী যন্ত্রাংশ খাতে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা দেখেন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এ ক্ষেত্রে জয়েন্ট ভেঞ্চার বা যৌথ বাণিজ্য উদ্যোগের আগ্রহ ব্যক্ত করেন উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।