আদালতের কাঠগড়ায় গলায় ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাদল হোসেন মুন্না (২১) নামে এক আসামি। আহত অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, ২০২২ সালের জুনে কদমতলীতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মেয়ের বাবা মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে আসামিপক্ষ ভিকটিমকে পুনরায় জেরার আবেদন করে। গতকাল ভিকটিমকে জেরা করা হয়। ভিকটিম জেরায় বলেছেন, আসামির সঙ্গে মেয়েটির কোনো সম্পর্ক ছিল না। পরে হয়তো আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আসামি মুন্নার বাবা আবদুল আলীর দাবি, ছেলের শ্বশুর তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা করেছেন। কয়েক মাস ধরে ছেলে জেলে। গতকাল জামিন শুনানি ছিল। সে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গলায় ব্লেড চালিয়েছে। আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান বলেন, আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল। তার কাছে নাম জানতে চাই। তাকে যেন আগে হাজতখানায় নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু সে নাম বলে না। পরে দেখি তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। সে পড়ে যাচ্ছিল। দ্রুত ধরে ফেলি। নিচে শেভ করা রেজারের ব্লেড দেখতে পাই।