ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তাবিত সীমানা নিয়ে দলের নেতাদের অবস্থান তুলে ধরেছে জামায়াতে ইসলামী। শুনানির সময় যৌক্তিকভাবে বিষয়গুলো আমলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে দলটি। তাদের দাবি-শর্ত পূরণ না হলে প্রতিশ্রুত ভালো নির্বাচন হবে না বলে জানায় জামায়াত। গতকাল বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে জামায়াতের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানান, সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ হয়েছে এবং শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে। আসনভিত্তিক সংক্ষুব্ধ বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে কমিশনের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল বিষয় ছিল সীমানা নির্ধারণ নিয়ে।’ প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা, ঢাকা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত ও ইঞ্জিনিয়ার আবিদ হাসান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনের আগে তাদের দাবি ও শর্তগুলো নিশ্চিত করার দাবি জানায় দলটি। নয় তো এবারও ভালো নির্বাচন হবে না। আইনশৃঙ্খলা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও উৎসবমুখর ভোট নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আসেনি। আমরা অন্যান্য দাবির সঙ্গে জোরালোভাবে বলেছি সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। কমিশন বলেছে তারা কাজ করছে।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, ‘আমাদের কোনো সমস্যা নেই। চলতি বছরের ডিসেম্বরে হলেও জামায়াতের আপত্তি নেই।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য যে শর্ত এবং দাবিগুলো আমরা দিয়েছি এগুলো এনসিওর করে নির্বাচনে যেতে হবে।’
পিআর পদ্ধতি ও রোডম্যাপ : পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) ছাড়া জামায়াত নির্বাচনে যাবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, ‘ফেয়ার ইলেকশনের ব্যাপারে অলওয়েজ আমরা সিনসিয়ার ছিলাম। এ পদ্ধতিটা দেশের জন্য কল্যাণকর।’ পিআর পদ্ধতিতে ভোটারদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে বলে জানান তিনি।