ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে মাঠপর্যায়ে ব্যবহার উপযোগী কত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স রয়েছে, সে তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন। এক সপ্তাহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কমিশন সচিবালয়ের সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে। নির্বাচনি সরঞ্জামের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ‘মোটামুটি প্রস্তুত’, আজ বা চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন তা ঘোষণা হতে পারে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে বলে গতকাল রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। শুধু তা-ই নয়, সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা মোটামুটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সমন্বয় সভায় ইসি সচিব আখতার আহমেদ সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তথ্য, নির্বাচনি সরঞ্জাম সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণে গুদামে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দের চাহিদা এবং ব্যবহার উপযোগী ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। সচিব বলেছেন, প্রয়োজনীয় সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে, যাতে সময়ের কাজ সময়মতো শেষ করতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। একটু প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে সুচারুভাবে তা শেষ করা যাবে।
১০ সেপ্টেম্বর আসনভিত্তিক ভোটারের বিপরীতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ হচ্ছে, ২০ অক্টোবরের মধ্যে এ সম্ভাব্য তালিকা চূড়ান্ত হবে। তবে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট করবে ইসি। ইতোমধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের সিলসহ নির্বাচনি সরঞ্জামের কেনাকাটার প্রাথমিক কাজ চলছে। এ ধারাবাহিকতায় ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৩ লাখের মতো ব্যালট বাক্স ব্যবহার করেছিল তৎকালীন কমিশন। সেবার ৪২ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি ভোটকক্ষ ছিল। নির্বাচনের আগে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স কিনতে হয়েছিল।
নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হয়। আর প্রতি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দেওয়া হয়। সে হিসাবে এবার ৩ লাখের বেশি ব্যালট বাক্সের প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ও কেন্দ্রীয়ভাবে কী পরিমাণ স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার উপযোগী আছে তা হিসাব করে চাহিদা নিরূপণ করবে ইসি সচিবালয়।