আগামী তিন মাসের জন্য দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের সব ধরনের পদ স্থগিত করেছে বিএনপি। গতকাল তিনি কারণ দর্শানোর নোটিসের যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক না হওয়ায় একই দিন চিঠি দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা ফজলুর রহমানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে এখন থেকে টক শো বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলার সময় দেশের মর্যাদা ও দলের নীতিমালা যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দলটি। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদটি স্থগিত করে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ২৬ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিসের যে জবাব আপনি দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয়। তথাপিও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান বিবেচনা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আপনার দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে শোকজের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর দেওয়া জবাবে ফজলুর রহমান মোট ১১টি বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। লিখিত জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলতে চাই, আমি কোনো দিন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিই নাই, যা আমার স্বভাব ও চরিত্রের বিপরীতে। আমি প্রথম ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদকে পুলিশ সরাসরি বুকে গুলি করে হত্যা করার পর বলেছিলাম, সে এই একুশ শতাব্দীর প্রথম “বীরশ্রেষ্ঠ”। আমার বক্তব্যে জুলাই-আগস্ট শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আমি নাকি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কথা বলেছি, যা আমার দৃঢ় ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অবিচার। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই আমি ইসলাম ধর্ম এবং আল্লাহ রসুলে বিশ্বাসী ব্যক্তি। তবে রাজনৈতিকভাবে ধর্ম ব্যবসায়ীদের (যেমন জামায়াতে ইসলামী) বিরুদ্ধে চিরদিন কথা বলেছি, আগামীতেও বলব।’