শরীয়তপুরের জাজিরায় খবির উদ্দিন সরদার (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের উমরদি মাদবরকান্দি এ ঘটনা ঘটে। খবির ওই এলাকার মৃত ইউনূস সরদারের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, এলাকার আলমাস সরদারের সঙ্গে খবিরের বিরোধ ছিল। আলমাস ও তাঁর সমর্থকরা তাঁকে হত্যা করেন। জাজিরা থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খবির বাড়ি থেকে বের হন। তখন আলমাস ও তাঁর সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক খবিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবিরের বড় ভাই উমরদি মাদবরকান্দি জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি দানেশ সরদার বলেন, ‘আলমাসসহ এলাকার আওয়ামী লীগের কিছু লোক মসজিদ কমিটি গঠনে বাধা দিয়েছিলেন। মসজিদের মাইকে আজান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে আলমাস সরদার ইমামকে হুমকি দেন। আমার ভাই প্রতিবাদ করেছিলেন। এ নিয়ে ঝামেলা হয়। পরে এ বিষয়ে কমিটির পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। এর পর থেকেই আলমাস আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আলমাস তাঁর লোকজন নিয়ে আমার ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।’ ঘটনার পর থেকে আলমাস সপরিবার এলাকা থেকে পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার বলেন, ‘মসজিদের মাইকে আজান দিলে আলমাস সরদারের ঘুমে ব্যাঘাত হয় তাই সে মসজিদে এসে হুজুরকে হুমকি দেয়। পরে মসজিদের সবাই প্রতিবাদ জানায়। তাই আওয়ামী সন্ত্রাসী আলমাস গং ক্ষিপ্ত হয়ে খবির সরদারকে হত্যা করেছে।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘খবির সরদার হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আমরা ধরার চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’