বগুড়ায় পরপর দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। শনিবার দিবাগত রাতে শহরের শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার ইকবাল হোসেন (২৪) খুন হন। এর আগে একইদিন সকালে শাকিল খন্দকার (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ায় থাকতেন এবং শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শাকিল বগুড়া সদর উপজেলার ছিলিমপুর এলাকার বাকিবুল্লাহ খন্দকারের ছেলে। জানা যায়, শনিবার রাতে ইকবাল ও সেলসম্যান রতন শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। সকালে ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা এসে ক্যাশ কাউন্টারের ভিতর ইকবালের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে রতন পলাতক রয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মাদ জানান, ইকবালের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সহকর্মী রতন পলাতক থাকায় হত্যাকান্ডে তিনি জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে আটক করা গেলে হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সহজ হবে। ঘটনার তদন্তে পিবিআই ও সিআইডি কাজ করছে। এদিকে, শহরের তেলিপুকুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামিম ও পলাশের সঙ্গে শাকিলের দ্বন্দ্ব ছিল। শুক্রবার রাতে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে শাকিলকে তার এক আত্মীয় ডেকে নেন। তখন পলাশ ও শামিম সহযোগীদের নিয়ে শাকিলের ভাগনে তৌফিককে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে আঘাত করে। গুরুতর আহত হয়ে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। শনিবার সকালে তেলিপুকুর এলাকার ধানখেত থেকে শাকিলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।