সাধারণত বলা হয়ে থাকে বলিরেখায় নারীদের বয়স্ক দেখায়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, নাকের নিচের দিকে দুই পাশ থেকে যে দুটি দাগ ঠোঁটের দুই কোণা পর্যন্ত আসে তা বয়সের ছাপকে প্রকট করে তোলে। এই দাগটিকে বলা হয় 'নাসোলাবিয়াল'।
সম্প্রতি নারীদের চেহারায় বয়স্ক ছাপ কীভাবে ফুটে ওঠে তা নিয়ে গবেষণা পরিচালিত হয়। 'ক্লিনিক্যাল, কসমেটিক অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনাল ডার্মাটোলজি'-তে তা প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষণায় ৪১ বছর থেকে ৪৯ বছর বয়সী ১২০ জন নারীকে বেছে নেওয়া হয়। ছয়জন ডার্মাটোলজিস্টকে নিয়ে এক্সপার্ট প্যানেল গঠন করা হয় যারা নারীদের নিয়ে পরীক্ষা চালান। নারীদের মধ্যে ধূমপায়ী বা অসুস্থতার কারণে ত্বকের সমস্যা হয়েছে এমন কেউ ছিলেন না। মুখমণ্ডলের কোন বৈশিষ্ট্যগুলো বয়স প্রকাশ করে তা চিহ্নিত করতে পারলে যারা কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে বয়স্কভাব দূর করতে চান, তাদের সার্জারি শতভাগ সফল হবে। গতানুগতিক চিহ্ন দেখে বয়স আন্দাজ করা হলেও, এখানে বয়স বুঝতে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানীক পদ্ধতি অবলম্বনের চেষ্টা করা হয়।
এই পরীক্ষায় দেখা গেছে, নাসোলাবিয়াল যার যতো গভীর ও স্পষ্ট তার বয়স ততো পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। এই তালিকায় অগুরুত্বপূর্ণ এবং নিচের দিকে স্থান পেয়েছে চোখের নিচের কালো দাগ, কুঁচকে যাওয়া ত্বক ইত্যাদি। নাসোলাবিয়াল দেখে বয়স বোঝার যাবতীয় পরীক্ষার ৯২ শতংশ সফল হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি এবং মিয়ামির ডার্মাটোলজিস্টট ফ্রেডরিক ব্রান্ডট বলেন, যাদের ওজন বেশি তাদের মধ্যেই নাসোলাবিয়াল প্রকট আকারের দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ফ্রেঞ্চ অভিনেত্রী ক্যাথেরিন দেনিয়ুভ একটি মজার কথা বলেছিলেন, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নারীদের হয় নিতম্ব অথবা মুখ এ দুটির একটি বেছে নিতে হয়। কারণ নিতম্বের ওজন বেশি হয়ে আপনাকে সেক্সি দেখাবে। কিন্তু মুখে বয়সের ছাপ পড়বে। আবার বয়সের ছাপ দূর করতে হলে ওজন কমাতে হবে। তখন নারী দেহের সৌষ্ঠব নষ্ট হয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক এক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এটা চেহারার অযত্নের কারণে আসে না। বরং ত্বকের কোলাজেনের বিশৃঙ্খলার কারণে হয়ে থাকে। এই কোলাজেন ঘটিত সমস্যার কারণে ত্বকের সজীবতা ধরে রাখার জন্য যা প্রয়োজন তার অভাব দেখা দিলেই নাসোলাবিয়াল হয়। আর ওই অভাব পূরণের মাধ্যমেই এই দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে জানান ড. ব্রান্ডট।