খাবার আমাদের দেহকে ঠিক রাখার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সুষম খাবারের বিকল্প নেই বলাই বাহুল্য। এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আমাদের চিরকাল ফিট থাকতে অনেক সাহায্য করে।
তারুণ্য ধরে রাখতে মাছ
সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাছ খেলে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া, দাগ ও রিঙ্কেল পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। মাছের প্রোটিন এবং ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড চামড়া ঝুলে পড়ার হাত থেকেও আমাদের ত্বককে রক্ষা করে থাকে।
মানসিক চাপমুক্ত থাকতে গ্রিন টি
গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কম্পাউন্ড আমাদের মস্তিস্কের রকের সুগারকে স্টিমুলেট করে আমাদের দেহে এনার্জি সরবরাহের হরমোন তৈরি করে। এছাড়াও এটি ভাললাগার হরমোন এন্ডোরফিন উৎপন্ন করে যা আমাদের মানসিক চাপকে দূর করে সহজেই।
স্মৃতিশক্তি উন্নয়নে হলুদ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে হলুদ আমাদের স্মৃতিশক্তি প্রায় ৩০% পর্যন্ত উন্নত করতে সহায়তা করে। হলুদে বিদ্যমান কারকিউমিন আমাদের মস্ততিস্কের নিউরনের উন্নতি সাধন করে।
উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে দারুচিনি
গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন মাত্র অর্ধেক চা চামচ পরিমাণে দারুচিনি গুঁড়ো আমাদের দেহের রক্তের চিনির মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা প্রায় ২৯% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। তাই হেলথ এক্সপার্টগন উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করতে বলে থাকেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শাকসবজি
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় শাকসবজি রাখা হলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়। ফলে নান রোগ থেকে আমাদের দেহ রক্ষা পায় বেশ সহজেই। তাই খাদ্যতালিকায় রঙ বেরঙের সকল সবজি রাখালেই থাকতে পারবেন সুপার ফিট।
দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ভাইরাস ধংস করে মধু
মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক হিসেবে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত মধু খেলে আমাদের দেহের ভেতরকার ক্ষতিকর ভাইরাস সমূহ ধ্বংস হয়ে যায়। সাইনাসের সমস্যা এবং ঠাণ্ডা সর্দি ধরণের ছোটোখাটো রোগ দ্রুত সেরে যায়।