অকারণেই সাদা হায়ে যাচ্ছে মাথার চুল? বয়সের থেকেও বেশি বুড়ো লাগছে নিজেকে? হতেই পারে। আমাদের দেশে এমন হাজারো নারী-পুরুষ আছেন যারা অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। নানা কারণেই অকালে চুলে পাক ধরতে পারে। ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে শরীরের সৌন্দর্য্যের অন্যতম এ অংশটি।
ঘুম কম হওয়া, নিম্নমানের চুলের প্রশাধন ব্যবহার, অত্যাধিক পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার, নিয়মিত যত্ন না নেয়া, ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া, পুষ্টিকর খাবারের অভাব, দুশ্চিন্তা করা, চুল শুকাতে মেশিন ব্যবহার সর্বপরি হরমোনের সমস্যায় এটি হতে পারে। আপনার চুল পাকার জন্য হয়তো এর মধ্যে কোনো একটি দায়ী। তাই আসুন চুল পাকার আগেই হই সচেতন। কারণ প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
১. হরিতকি, মেহেদি পাতার গুড়া, তেল, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন লাগালে চুল পাকা কমে যাবে।
২. নারিকেল তেল গরম করে মাথার তালুতে ঘষে লাগিয়ে দিন। তাহলে চুল সঠিক মাত্রায় পুষ্টি পাবে।
৩. চুল পাকা রোধে মেহেদি পাতার গুড়া, ডিমের কুসুম, টক দইয়ের প্যাক লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
৪. নিয়মিত সব দেশি ফল খেলে পাবেন যথেষ্ট পুষ্টি উপাদান। যা চুলকে কালো রাখতে সাহায্য করে।
৫. চুলের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের ক্রিম, জেল বা কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় লক্ষ্য রাখবেন যেন মাথার ত্বকে না লাগে। ত্বকে লাগলে চুল পড়া বা সাদা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৬. চুলের খুশকি রোধ করুন যতদ্রুত সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনি তুলসি পাতার গুড়া, নিম পাতার গুড়া, উষ্ণ গরম নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার তালুতে ঘষে লাগিয়ে দিন। এক সপ্তাহে ইতিবাচক ফল পাবেন।
এ সমস্যা যদি তবু আপনার পিছু না ছাড়ে তবে ঘাবড়াবেন না। চলে যেতে পারেন সোজা হোমিওপ্যাথের কাছে। কারণ এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক ওষুধে ভালো ফল পাওয়া যায়।