লাউকে কোনো কোনো অঞ্চলে কদু বলা হয়। কচি লাউ রান্না করে আর লাউয়ের শাক ভাজি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দুধে রান্না লাউও অনেকের কাছেই প্রিয়।
লাউয়ের পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে রয়েছে জলীয় অংশ ৯৬.১০ গ্রাম, আঁশ ০.৬ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ১২ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ২.৫ গ্রাম। খনিজ উপাদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম ২০.০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম ছাড়াও সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স সি ছাড়াও এতে ফলিক এসিড, ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আছে।
লাউয়ের নানা গুণ:
- লাউয়ে প্রচুর পানি থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
- জ্বরের সময় লাউয়ের কচি লাক ভেজে খেলে মুখে রুচি হয়।
- লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে।
- যারা প্রসাবের সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা লাউ খেতে পারেন।
- লাউ থেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি লাউ।
- লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সহায়ক।
- লাউ দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে।
- ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা