অসুস্থতাজনিত দুর্বলতা কাটাতে লালশাকের স্যুপের জুড়ি নেই। প্রতিদিন একটু একটু করে খেতে পারলে দ্রুত সুস্থ বোধ হবে। লালশাকে প্রচুর আয়রন থাকায় তা রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং একইসঙ্গে এনার্জি বৃদ্ধি করে।
আমি তখন বাংলাদেশ, ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া ছোট ভাইটার একটা ছোটখাট সার্জারির পরে নার্সিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম আমি। এমনিতেই সে ছিল রোগা পটকা আর লম্বা ধাঁচের ছেলে, তারউপরে তার ছিল খাবারে বিষম অরুচি। তাকে খাওয়ানো বেশ সমস্যার ছিল। তাকে সুস্থ করে তোলার চ্যালেঞ্জটাও ছিল মনে। এই লালশাকের স্যুপ আমার ভাইকে দুইদিনে সুস্থ করে দিয়েছিল।
উপকরণ:
- লালশাক ১ আঁটি
- ১টা কাঁচামরিচ
-২ চা চামচ সাদা ভিনেগার
- রসুন ২ কোয়া
- পেঁয়াজ অর্ধেক
- চিনি এক চিমটি
- লবণ পরিমাণ মত
- খোসা ছাড়ানো চিংড়ি ইচ্ছে হলে মেশাতে পারেন। না হলেও অসুবিধা নেই।
প্রণালী:
লালশাক ধুয়ে ছোট করে কেটে রাখুন। কড়াইতে অল্প তেলে পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। বাদামী হবার আগেই শাক দিয়ে দিন। শাক নরম হয়ে উঠলে সাদা ভিনিগারটুকু মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাঝারি কাপের তিন কাপের মত পানি দিয়ে দিন।
শাক আরও নরম হয়ে গেলে ভালো করে ঘুটে নিন (ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করেও নিতে পারেন)। এবারে একটি পরিষ্কার নেটের জালিতে ছেকে নিন।
অন্য একটি পাত্রে অল্প তেল দিয়ে চিংড়ি, একটু লবণ ও কাঁচামরিচ দিয়ে ২/৩ মিনিট ভেজে নিন।এবার লাল রঙের স্যুপটা মিশিয়ে দিন। উথলে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন।
এবার পরিবেশনের পালা। একটি পরিষ্কার কাঁচের বাটিতে টকটকে লাল রঙের এই স্যুপ ঢেলে নিন। এক স্লাইস পাউরুটি খানিকটা বাটার দিয়ে সেঁকে একটি সুন্দর কোয়ার্টার প্লেটে দিন। দেখুন কতো সুন্দর দেখাচ্ছে। সবাইকে শুভেচ্ছা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা