একজন নারীর জীবনে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে আনন্দদায়ক মুহূর্তগুলোর একটি গর্ভে সন্তানকে ধারণ। নিজের ভেতরেই ক্ষুদ্র একটি প্রাণীকে বড় করা তোলা- একটি স্বর্গীয় অনুভূতি নিয়ে আসে। এ মুহূর্তে প্রকৃতিগতভাবে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে শরীরে। হরমোনের পরিবর্তন এর পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। যার প্রভাব পড়তে পারে চুলেও। এ সময় তাই মনে হতে পারে যে চুল মোটা হয়ে গেছে এবং পরিমাণে বেড়ে গেছে। আবার এসময়ে চুল শুষ্ক, কোঁকড়া হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকের এসময় অতিরিক্ত হারে চুল পড়তে থাকে। এই সময়ই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তা হলে ফল আরও খারাপ হতে বাধ্য। যেভাবে এই সময়ে চুলের যত্ন নেবেন:
ভিটামিন সি, ডি এবং জিঙ্ক চুল পড়া কমায়। এগুলো ছাড়াও ভিটামিন ই এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার নিজের ডায়েটে রাখুন।
ঘন ঘন চুল ধোবেন না। প্রেগন্যান্সির আগে যদি এই অভ্যাসটা থেকে থাকে তাহলে তা এখন বদলে ফেলুন। এই সময়ে চুলের গোড়া খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহে তিনবার সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু এবং কনডিশনার দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে ফেলুন।
চুলের গোড়া যেহেতু এই সময়ে খুবই দুর্বল হয়ে যায়, তাই শক্ত করে চুল বাঁধবেন না। লক্ষ্য রাখবেন কোনওভাবেই যেন চুলে খুব বেশি টান না পড়ে।
কালার, কার্লিং, প্রেসিং-এর মতো কোনও ট্রিটমেন্ট এই সময় পার্লারে না করানোই ভাল। একান্তই প্রয়োজন হলে হার্বাল কোনও ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল মিশিয়ে বাড়িতে বানিয়ে নিন হেয়ার মাস্ক। সারা রাত ভিজিয়ে রাখা মেথির জল দিয়েও চুল ধুতে পারেন। পছন্দের তেল দিয়েও খুব হালকা ভাবে মাসাজ করতে পারেন চুলে। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের বৃদ্ধি ভাল হয়।
বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। নিজেকে সব সময়ই হাসিখুশি, চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন।
বিডি প্রতিদিন/৬ মে, ২০১৮/ফারজানা
