শিরোনাম
১৩ মে, ২০১৯ ১৪:৪৩

এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখা উচিত

অনলাইন ডেস্ক

এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখা উচিত

বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বেড়ে চলায় প্রতিনিয়ত অসহনীয় হয়ে উঠছে আবহাওয়া। গ্রীষ্মের আগমনে শুধুমাত্র অস্বস্তিই নয়, অসুস্থতাই যেন এখন নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এখন আর বিলাসিতা নয়, পরিণত হয়েছে প্রয়োজনীয় চাহিদায়। এসি’র দাম যে এখন খুব বেশি তাও কিন্তু নয়। তবে, চট করে এসি না কিনে এসি কেনা দরকার বুঝে শুনে। তাতে যেমন বাঁচবে বিদ্যুৎ বিল, তেমনি ঠিকভাবে ঠা্ণ্ডা হবে ঘর। আসুন জেনে নেয়া যাক এসি কেনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরি।

১) প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে এসিটি চলতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে কতটা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার ওপর নির্ভর করে এসির দাম। অনেক সময় একই ব্র্যান্ডের একই টনেজের দুটো ভিন্ন এসির দামে হয়তো অনেক বেশি তফাৎ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী মডেলটির দাম অন্যান্য মডেলের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়। তাই, কেনার সময় দাম বেশি পড়লেও ভবিষ্যতে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রেখে যতো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসি কিনবেন, ততোই আপনার পকেটের পক্ষে মঙ্গলজনক।

২) যত বড় এসি, তত ঠাণ্ডা হবে ঘর- হিসেবটা এত সোজা নয়। যদি মনে করে থাকেন যে, একটি ছোটো ঘরকে ঠাণ্ডা রাখতে এসি কিনতে হবে দৈত্যাকার আকারের- তবে ভুল ভাবছেন। ঘরের মাপ অনুযায়ী কত টনের এসি প্রয়োজন তার একটি তালিকা রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বড় এসি কিনলে ঘর ঠিকঠাক ঠাণ্ডা হবে না। তাই মনে রাখতে হবে, ঘরের মাপ অনুযায়ী এসির টনেজের এই মাপটি। ঘরের মাপ ১২০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ০.৭৫ টন, ১২১ থেকে ১৫০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ১ টন, ১৫১ থেকে ২৫০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ১.৫ টন ও ২৫১ থেকে ৪০০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত প্রয়োজন ২ টন বা তার বেশি আকারের এসি। যদি এর থেকেও বড় ঘরের জন্য এসি প্রয়োজন হয়। তবে, কোনো ব্র্যান্ডের শো-রুমে গিয়ে কথা বললে তারাই বলে দেবে কোন মাপের এসিটি আপনার চাহিদা পূরণ করবে।

৩) এখন প্রায় সবখানেই উইন্ডো এসির স্থলে স্পিল্ট এসি লাগানোর চল। এ এসিগুলো উইনডো এসির তুলনায় অনেকটাই কম জায়গা দখল করে। তাছাড়া অপেক্ষাকৃত বড় আকারের ঘরের ক্ষেত্রে উইন্ডো এসির চেয়ে স্পিল্ট এসি ব্যবহার করাই সুবিধাজনক।

৪) আপনার যদি বাজেট বাড়াতে খুব একটা সমস্যা না হয়, তবে চেষ্টা করুন রিভার্স সাইকেল এসি কিনতে। যাতে গরমকালে ঠাণ্ডা হাওয়া আর শীতকালে গরম হাওয়ার সুবিধা পান। তাছাড়া, শীতকালেও এসি চালু থাকে বলে ভেতরের যন্ত্রাংশ ভালো থাকে। এগুলোর দাম সাধারণ এসিগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশিই।

৫) পুরো বাড়ি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসা বেশ খরচসাপেক্ষ। সেক্ষেত্রে মাস্টার বেডরুমের জন্য একটি স্পিল্ট এসি কিনে সঙ্গে আর একটি পোর্টেবল এসি কিনে নিন, যা এক ঘর থেকে আর এক ঘরে সহজেই তুলে নিয়ে যাওয়া যাবে। পোর্টেবল এসিগুলোর দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

৬) যে এসি কিনছেন তাতে যেন একটি অ্যাডজাস্টেব্ল থার্মোস্ট্যাট, দু’টি কুলিং স্পিড এবং অন্ততপক্ষে দু’টি ফ্যান স্পিড থাকে, যাতে ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করা যায় ঠাণ্ডা।

৭) বিক্রয়োত্তর সেবা যে কোনো হোম অ্যাপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এসি কেনার আগে সেই ব্র্যান্ডের বিক্রয়োত্তর সেবা কতটা ভালো সে বিষয়ে ভাল করে খোঁজ-খবর করে নেয়া উত্তম।

বিডি-প্রতিদিন/০৯ মে, ২০১৯/মাহবুব

সর্বশেষ খবর