তারুণ্য ধরে রাখার প্রথম শর্ত হলো ত্বককে প্রতিদিন আর্দ্র রাখা, পরিষ্কার রাখা এবং দিনের শেষে তাকে বিশ্রাম দেওয়া। আমরা অনেকেই দিনের ব্যস্ততায় মেকআপ পরে থাকি দীর্ঘ সময়, কিন্তু ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেকআপ না তোলার অভ্যাস ত্বকের ক্ষতির অন্যতম কারণ। ত্বকের রন্ধ্রগুলো মেকআপে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে বলিরেখা, শুষ্কতা, ব্রণ, অ্যালার্জি, এমনকি র্যাশও দেখা দিতে পারে...
মেকআপ তোলার সঠিক প্রক্রিয়া ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। ত্বকের ধরন অনুযায়ী রিমুভার নির্বাচন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
♦ শুষ্ক ত্বকের জন্য : নারকেল তেল, জলপাই তেল, বেবি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার লোশন/ক্রিম দারুণ কার্যকর। এগুলো ত্বককে আর্দ্র রাখে।
♦ তৈলাক্ত ও ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য : জেল বা ক্রিম বেসড রিমুভার, রিমুভিং ওয়াইপ কিংবা উচ্চমানের রিমুভার ব্যবহার করা ভালো। প্রয়োজনে হালকা ময়েশ্চারাইজার বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
♦ সব ধরনের মেকআপের জন্য : তেলজাতীয় বাম এবং দীর্ঘস্থায়ী বা ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ তুলতে অয়েল বেসড রিমুভার ব্যবহার করা উচিত।
♦ মেকআপ তোলার ধাপ :
১. প্রথমে ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিন।
২. পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে ক্লিনজার দিয়ে মুখ ও গলায় হালকা ম্যাসেজ করুন। এতে ফাউন্ডেশন ও কনসিলর উঠতে শুরু করবে।
৩. মুখ ধুয়ে আলতো করে মুছে সামান্য ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
♦ ঠোঁট ও চোখের মেকআপ :
চোখ : চোখের ত্বক নাজুক হওয়ায় বিশেষ আই মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। না থাকলে তুলোয় বেবি অয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে তুলে ফেলুন। মাশকারা তুলতে ভ্যাসলিন ব্যবহার করা যায়।
ঠোঁট : ঠোঁটের মেকআপ তুলতে আলাদা রিমুভার, বেবি অয়েল, ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়।
♦ অতিরিক্ত যত্ন ও অর্গানিক বিকল্প :
চড়া মেকআপ তুলতে হাতে সময় থাকলে স্টিম নেওয়া বা ভাপ নেওয়া উপকারী। অর্গানিক বিকল্প হিসেবে নারিকেল তেল, দই বা শসার পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। সবশেষে মেকআপ তোলাকে ঝামেলা মনে না করে এটিকে ত্বকের স্বাস্থ্যের সূচনা হিসেবে দেখা উচিত।
বিডি প্রতিদিন/এমআই