জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমান শাসন আমল থেকেই গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি শুরু হয় এই দেশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে খুনি জিয়া হত্যার রাজনীতি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান গুম খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রাখে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।
তিনি বলেন, রায়ের ৬ মাস আগেই সেনাবাহিনী সদস্যদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা হয়েছিল ছয় মাস পর। ১৯৭৭ সালে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের লাশও পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ক্লিন হার্ট অপারেশন নামে এবং ২০১৩ ও ১৪ সালে অগ্নিসংযোগ এর মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাস ট্রাকসহ অমূল্য সম্পদ। জাতির দাবি ও প্রত্যাশা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, নতুন আইন এর মাধ্যমে কমিশন গঠন করে ১৯৭৭সাল ও ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসংযোগ হত্যার বিচার করা হোক এটা এখন সময়ের দাবি।
শনিবার দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান তার পথ ধরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশে খুন, অগ্নি সন্ত্রাস, অরাজকতা চালিয়ে দেশকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।
জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অন্যত্র সরানোর দাবী জানিয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, হত্যা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় আনার দাবি জানাই।
‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হুইপ ইকবালুর রহিম, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ফুয়াদ চৌধুরী, গণফাঁসি ৭৭ প্রামান্যচিত্র নির্মাতা প্রমুখ। এছাড়াও ভুক্তভোগীদের সন্তান, মাতা-পিতা এবং ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল