গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণ আকাঙ্খাকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্রসংস্কার ও নির্বাচন একইসাথে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছর ক্ষমতায় ছিল। ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার পায়নি মানুষ। যে সরকার ক্ষমতায় ছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নসহ তাদের জনবিরোধী অবস্থান আমরা দেখেছি। আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন, জনবান্ধব আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্রনীতি ঠিক করতে হবে। জনগণ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনই একমাত্র রাজনীতির ভারসাম্য আনতে পারে। সরকারকে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে ঠেকাতে পারে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ঠেকাতে আপনাদের সর্বত্র আলোচনা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, চার বছর মেয়াদী সংসদ সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
তিনি বলেন, আবু সাঈদের রক্তে ভেজা রংপুরের মাটি। এ মাটিতে রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। এখন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন যারা করার চেষ্টা করবে, ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। দেশে কোনো ফ্যাসিবাদের জায়গা নেই।
গণঅধিকার পরিষদ রংপুর জেলা’র আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন। মূখ্য আলোচক ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব। এছাড়া রংপুর বিভাগের ৮ জেলার নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। এর আগে ভিপি নুর রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত এবং পরিবারের সাথে কথা বলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল