গাছের উপর ২০ ফুট লম্বা, ১৩ ফুট চওড়া বাসা। কী ভাবছেন- কে থাকে এ বাসায়? ভাবছেন চিতা বাঘ কিংবা মস্ত আকারের অন্য কোনো জন্তু? না, ওটা পাখিরই বাসা। আশ্চর্য হলেন? এবার হয়ত ভাবছেন- তাহলে তো উট পাখির মতো বড় কোন পাখি থাকে নিশ্চয়। তাও নয়, এই বড় 'বাংলো' নিয়ে যে পাখি থাকে তার আকার আমাদের বাবুই পাখির মতো।
পাখির এই বাসাটির ওজন ২ হাজার পাউন্ডেরও বেশি। বাসাটি প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বাসার উত্তরাধিকার বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে। মোটা ঘাস, পাখির পালক, বাতাসে ভেসে আসা তুলো, খড়কুটো আর গাছের ডাল দিয়ে নিজেদের বাসা তৈরি করে সোস্যায়েবল ওয়েভার(Sociable weaver) নামের এ পাখি। শুধু মাঝে মধ্যে একটু নতুন খড়কুটো দিয়ে মেরামত করতে হয়। তবে সমস্যা হল বাসাটি অক্ষুন্ন থাকলেও অনেক সময় মারা যায় আশ্রয়দাতা গাছটি। এমনকি বাসার ভারে ভেঙেও পড়ে।
আজব এই পাখির বাস দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে। এই অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা যেমন প্রচণ্ড বেশি, রাতে তার উল্টো। তাদের এ বাসাই অতিরিক্ত গরম এবং ঠাণ্ডা থেকে সোস্যায়েবল ওয়েভারকে রক্ষা করে। একটি বাসায় একশ'র উপরে ছোট ছোট ঘর থাকে। একটি আস্তানায় সাধারনত তিনশ থেকে চারশো পাখি বাস করে। ছোট ছোট কুঠুরিতে আলাদা আলাদা পরিবার বসবাস করে। বাসার মাঝখানে থাকা ঘরগুলো বেশি উষ্ণ। যা রাতের হিমশীতল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে। আর বাইরের ঘরগুলো তুলনামূলকভাবে একটু ঠাণ্ডা। দিনের গরম থেকে রক্ষা পেতে সেই ঘরগুলোতে আশ্রয় নেয় পাখিরা।
বিডি-প্রতিদিন/২০ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ