পুলিশ সদস্যদের ঘুষ নেওয়া বা চাওয়ার প্রমাণ জমা দিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। শুধু তাই নয়, এ জন্য হেল্পলাইন ও হোয়াটসঅ্যাপের নম্বরও দেওয়া হয়েছিল। অথচ এখন কি না উল্টো পথে হাঁটছে তারা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লির পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রচার করা বিজ্ঞাপনের পর জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। অনেকেই মোবাইল ও অন্য মাধ্যম ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতির ভিডিও ধারণ করেন। এরপর পুলিশের দেওয়া ওই নম্বরে তা পাঠিয়ে দেন।
কথা ছিল, ওই প্রমাণগুলো দেখে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণ যখন এ সংক্রান্ত পদক্ষেপের অপেক্ষায় ছিল ঠিক সে সময়ই উল্টো পুলিশ স্টেশনে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো!
কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিল্লি পুলিশ শহরজুড়ে পুলিশ স্টেশনগুলোতে মোবাইল ফোন নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্রের কোনো মন্তব্য না পাওয়া গেলেও গত মঙ্গলবার ওই পুলিশ স্টেশনগুলোতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে এ নিষেধাজ্ঞার খবর পাওয়ার পর মধুবিহার, মন্দাওয়ালী, মডেল টাউন, জাহাঙ্গীরপুরী, দরকাসহ বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে যায় টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিকরা। সেখানে গিয়ে দেখা যায় কোনো নাগরিককেই মোবাইল ফোনসহ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি মোবাইল বহনকারী নারী, বৃদ্ধদেরও বের করে দেওয়া হচ্ছে।
শুধু মোবাইল ফোনই নয়, কলম, ব্যাগ বা ডায়েরিও রয়েছে নিষিদ্ধের তালিকায়! অভিযোগ দায়েরের জন্য অর্থ ছাড়া বাকি জিনিসপত্র রেখে যেতে হচ্ছে সকলকে।
এই কড়াকড়ির ব্যাপারে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জনগণ অনেক সময়ই পুলিশ স্টেশনের ভেতরে ছবি তোলে বা কথোপকথন রেকর্ড করে। এগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা দেখা দেয়। এ কারণে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ