বর ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের চমকে দিতে নকল পুলিশ সেজেছিলেন বউ। নিয়মিত ডিউটির উদ্দেশ্যেও বের হচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ পুলিশ নাটক ১০ দিনের বেশি গড়ালো না। ধরা পড়ে গেলেন; তাও শ্বশুরবাড়ির লোকদের কাছে নয়, আসল পুলিশের কাছে। অতঃপর থানা-পুলিশ। শেষ অবধি আদালত। কপাল ভালো জামিনটা পেয়ে যান, নাহলে নকল পুলিশ সাজার দায়ে গারদেই জায়গা হতো প্রিয়াঙ্কা পটলের।
প্রিয়াঙ্কার শ্বশুরবাড়ি ভারতের শাহপুরে। স্বামী বেসরকারি চাকুরে। তিনিও যে স্বামীর চেয়ে কম জান না, চাইলে স্বামীর মতোই চাকরি করতে পারেন, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এটা বোঝানোই উদ্দেশ্য ছিল প্রিয়াঙ্কার। পাশাপাশি নিজের একটা ভাবমূর্তি তৈরি করাও উদ্দেশ্য। আর নকল পুলিশ হলেও ডিউটির নামে বাইরে ঘোরাফেরা তো যাবে, বাড়িতে বসে চুলায় লাকড়িও ঠেলতে হবে না। স্বামীর একাধিপত্য খর্ব হবে। সবকিছু বিবেচনা করে নকল পুলিশ সাজার নাটক সাজায় ২৪ বছরের প্রিয়াঙ্কা।
যেমন পরিকল্পনা, তেমন কাজ। ক'দিনের জন্য বাপের বাড়ি থেকে ঘুরে এসে শ্বশুরবাড়িতে জানান, আরপিএফে কনস্টেবলের চাকরি পেয়েছেন। স্বামীকে বলেন, রোজ সকালে স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে। বাপের বাড়ি থেকে ফেরার সময় পুলিশের পোশাকটিও বানিয়ে এনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
গত ১০ দিন ধরে পরিকল্পনা মতো ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। স্বামী দিয়ে আসছিলেন, ফিরছিলেন একাই। কিন্তু, নতুন মুখ দেখে অন্য দুই আরপিএফ কনস্টেবলের সন্দেহ হয়। তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। পরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। জেরার মুখে প্রিয়াঙ্কা জানান, শ্বশুরবাড়িতে নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করতেই পুলিশ সেজেছিলেন। স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে, তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কিছু করার প্রমাণও পায়নি আরপিএফ।
কিন্তু, এভাবে পুলিশ সাজাটাও অপারাধের শামিল। যার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭০ ও ১৭১ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। প্রিয়াঙ্কাকে আদালতে তোলা হলে, জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। তবে শ্বশুরবাড়িতে এখন তার ভাবমূর্তি কেমন হলো তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই রইলো।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ