বাড়িতে ঢুকে এক নারী ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল এক যুবক। কিন্তু, পরিণাম ভাল হল না। ওই নারীর পাল্টা প্রতিরোধে প্রাণই খোয়াতে হল যুবকের। ওই নারী কুড়াল দিয়ে কেনে নেন যুবকের যৌনাঙ্গ। এতেই মৃত্যু হয় তার। পরে সাত বান্ধবীকে নিয়ে এক সমাধিস্থলে দেহটি মাটিচাপা দেন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ভারতের অাসামের বিশ্বনাথ চারিয়ালি জেলার ভারাজুলি গ্রামে ঘটেছে।
দিন পনের ধরে খোঁজ মিলছিল না কৃষ্ণা ভুমজির। স্থানীয় থানায় কৃষ্ণার মা একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। কৃষ্ণা এলাকায় সমাজবিরোধী বলেই পরিচিত। দু'টি মামলায় পুলিশ তার খোঁজও করছিল। নিখোঁজের তদন্তে সন্দেহ গিয়ে পড়ে এলাকার এক নারীর ওপর। তাঁকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। ওই নারীর দাবি, বাড়়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে চড়াও হয়েছিল কৃষ্ণা। তিনি ভেবেছিলেন কৃষ্ণার যৌনাঙ্গ কেটে নিলেই উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। কিন্তু, যৌনাঙ্গ কাটা যাওয়ায় রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। এরপর সাত বান্ধবীকে নিয়ে কৃষ্ণার দেহ মাটিচাপা দেন।
ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি সাত বান্ধবীর খোঁজ চলছে। কৃষ্ণার দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/২১ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ