ব্রাজিলে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর তার ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয় ধর্ষণকারীরা। আর এরপরই প্রতিবাদমুখর হয়ে পড়েন দেশটির মানুষ। রিও ডি জেনেইরোসহ ব্রাজিলের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে ক্ষুব্ধ জনতা। সড়ক অবরোধ করা হয়। খবর সিএনএনের।
আন্তর্জাাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় ৩০ জন দুর্বৃত্ত জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেনি ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী। কারণ ঘটনার সময় মেয়েটি অজ্ঞান ছিল। পরদিন তার জ্ঞান ফেরে। গত শনিবার রিও ডি জেনেইরোতে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সেখানেই তাকে পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরদিন সকালে ঘুম ভাঙার পর ওই কিশোরী নিজেকে অন্য একটি বাড়ির বিছানায় দেখতে পায়। আর তাকে ঘিরে রেখেছে বেশ কয়েকজন পুরুষ। কিশোরীর শরীর ছিল সম্পূর্ণ অনাবৃত। তবে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে পরিবারের কাউকে ঘটনাটি জানায়নি। পরে ইন্টারনেটে ধর্ষণের ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সেই গণধর্ষণের ভিডিওটি ধর্ষণকারীরা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে তাতে লিখে দেয়, ‘এটাই ব্রাজিলের সংস্কৃতি।’ এরপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্রাজিলের মানুষ। সেই বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। বিক্ষোভকারীরা অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে ওই কিশোরীরে নগ্ন ও অচেতন অবস্থায় দেখা যায়। দুটি পুরুষ কণ্ঠকে গর্বের সঙ্গে বলতে শোনা যায়, কিশোরীকে ৩০ জন ধর্ষণ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রত্যেক প্রদেশের নিরাপত্তামন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেন ব্রাজিলের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট মিচেল টেমার।এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, একবিংশ শতকে এ ধরনের বর্বরোচিত অপরাধের ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা মোকাবিলায় একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ মে, ২০১৬/ আফরোজ