স্থূলকায় যাত্রীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে হাওয়াইন এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুই আমেরিকান সামোয়ান ব্যবসায়ী অভিযোগ দাখিল করেছেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের কাছে। অভিযোগে বলা হয়, হনুলুলু থেকে একটি ফ্লাইটে ওঠেন তারা। বিমানে ওজন নিয়ে তাদের হেনস্তা করা হয়েছে। যে আসনের টিকেট তারা কেটেছিলেন পরে তাও বদলে দেওয়া হয়।
তবে বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাড়তি ওজনের যাত্রীদের কারণে তাদের জ্বালানি খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তবে তারা যাত্রীদের ওপর ওজন বিষয়ক কোন নিয়ম চাপায়নি। ওই সময় মূলত হাওয়াই এবং আমেরিকার সামোয়ান রাজধানী পাগো পাগোর মধ্যে যাতায়াতকারী বিমান যাত্রীদের ওজন বিষয়ে একটা জরিপ চলছিল।
হাওয়াইন কমিউনিকেশন ডিরেক্টর অ্যালিসন ক্রয়লি বলেন, পাগো পাগোতে যত ফ্লাইট যায় তার সব কটিতে জ্বালানি খরচ হয় ধারণার চেয়েও বেশি। তা ছাড়া আমাদের যেকোনো ফ্লাইটে যাত্রীদের ওজন বিবেচনা করতে হয়। এ বছরের প্রথম দিকে জাপান থেকে কোরিয়ার ফ্লাইটেও একই ধরনের জরিপ চালানো হয়।
টানা ছয় মাস ধরে জরিপ চলে। এফএএ প্রোটোকলের নিয়ম ধরে জরিপ চলতে থাকে। ধারণার চেয়েও ওজন বেশি হলে বিমানের দুই পাশের ভারসাম্য রক্ষার্থে যাত্রীদের এদিক-ওদিক করতে হয়।
অভিযোগকারীর একজন আভামুয়া ডেভ হ্যালেক বলেন, হাওয়াইন এয়ারলাইন্স বলছে এটা নিরাপত্তার বিষয়। ওজনের ভারসাম্য রক্ষায় এটা করা হয়। তাহলে কি এতদিন আমরা নিরাপত্তাহীনতার মাঝে বিমানে চড়েছি?
২০০৩ সাল থেকে হাওয়াইন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭-৩০০ উড়ছে আমেরিকান সামোয়া থেকে। তারা হনুলুলু-পাগো পাগো রুট ব্যবহার করে। তারা ২৬৯ জন যাত্রী নিয়ে ৬৮৩৫ মাইল ওড়ে নিরাপদে। দুটো শহরের মাঝের দূরত্ব ২৬০০ মাইল।
সিআইএ'র ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকে বলা হয়, পৃথিবীতে স্থূলতার হার সবচেয়ে বেশি সামোয়ানদের। প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৪ শতাংশই স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন। এই হিসাব ২০০৭-২০০৮ এর সময়কার। বর্তমানে সামোয়ানদের ৯৫ শতাংশই স্থূলতায় ভুগছেন।
সূত্র : ফক্স নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ