মানুষ যতই আধুনিক হয়ে কেন এখনও এই সভ্য সমাজের কিছু মানুষের ভেতর থেকে গেছে ধর্মীয় গোঁড়ামি। আর এই গোরামির জন্য অকাতরে ঝড়ে গেছে বহু প্রাণ। ঠিক তেমনই এক কুসংষ্কার মানতে গিয়ে প্রাণ হারালো ভারতের হায়দ্রাবাদের এক হতভাগ্য কিশোরীর।
পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিশেষ নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর৷ জানা গিয়েছে, আরাধনা নামে ওই কিশোরী পরিবারের সৌভাগ্য কামনায় ‘চতুর্মাস’ নামে একটি নির্দেশনা পালন করছিলেন৷ সে নির্দেশনা পালনের জন্য হায়দরাবাদের ওই কিশোরী উপোস করে ছিলেন। তাও একদিন বা দুই নয়, একটানা ৬৮ দিন উপোস করে ছিলেন৷ একটানা দু’মাস কিছু না খাওয়ার কারণেই ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ শেষ পর্যন্ত উপবাসের জন্যই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়৷
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা লক্ষ্মীচাঁদ সানসাদিয়া একজন গহনার ব্যবসায়ী৷ সম্প্রতি তাঁর ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল৷ এর পরই চেন্নাইয়ের এক জ্যোতিষীর পরামর্শে মেয়েকে দিয়ে ‘চতুর্মাস’ নির্দেশনা পালন করছিলেন লক্ষ্মীচাঁদ৷
জ্যোতিষী লক্ষ্মীচাঁদকে বলেন, মেয়েকে দিয়ে চার মাস উপোস করালে তিনি ব্যবসায়ে লাভের মুখ দেখবেন৷ শেষ পর্যন্ত ওই পরামর্শ মানতে গিয়েই মেয়েকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন লক্ষ্মীচাঁদ৷ চলতি মাসের তিন তারিখে আরাধনার ১০ সপ্তাহের উপোস শেষ হয়৷ এর পরই বাড়িতে ‘পারনা’ পালন করেন লক্ষ্মীচাঁদ৷
তেলেঙ্গানার এক মন্ত্রীও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ এর পরই অসুস্থ বোধ করেন আরাধনা৷ সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই কিশোরী আরাধনার মৃত্যু হয়৷
বিডি-প্রতিদিন/৯ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর