পূজার ছুটির ভারতের যৌনপল্লিগুলোর ব্যস্ততা রীতিমতো বেড়ে যায়। আলসেমির যেন কোন অবকাশ নেই এখন যৌনপল্লিতে! কেননা পূজার এ কয়টা দিন কাস্টমারদের ভিড় থাকে তুঙ্গে। তাইতো নবমী নিশি যখন দশমীর দিকে গড়াচ্ছে তখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা যৌনপল্লির ঘরগুলোতে।
রীতি হিসেবে, পতিতাদের ঘরের মাটি নিয়েই দেবী প্রতিমা তৈরি হয়। তাইতো প্রতিমা দেখতে যাওয়ার মতো সুযোগ আর হয়ে উঠেনি পতিতাদের। জানা যায়, গত দু’বছর ধরে দুর্গাপূজা হয়েছিল শহরের বিখ্যাত যৌনপল্লিতেই। কিন্তু এ বছর তাও বন্ধ। তাছাড়া পূজার দিন অন্যরকম অর্থ নিয়ে আসে বিশেষ খদ্দররা যৌনপল্লির বাসিন্দাদের কাছে। চেনা দিনগুলোর চেহারা এই কয়টা দিনে বদলে যায়। নিয়মিত যারা যৌনপল্লিতে আসেন, এ সময় আর তাদের দেখা যায় না। আর বছর ধরে যাদের দেখা যায় না, এসময় তাদেরই বেশি আনাগোনা।
ঠাকুর দেখার ছলে শহরতলীর যে মানুষরা এই কয়টা দিন শহরমুখো হন, মূলত তারাই ছুটে আসেন যৌনপল্লিগুলোতে। শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্য যে, তাদের কাছে পূজার আনন্দ মানে এই যৌনপল্লিতে রাত কাটানোটাই। আর তাই পূজার এ কয়টা দিন সাধারণ ‘খদ্দের’ পেরিয়ে ‘বিশেষ খদ্দের’-এর চাপটাই বেশি থাকে যৌনপল্লিতে।
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার