গত ৫ অক্টোবর নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন ভারতের খ্যাতনামা সুগন্ধি ব্যবসায়ী মণিকা ঘুর্দে। এ ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী রাজকুমার সিং জেরায় জানিয়েছে, খুনের আগে মণিকাকে পর্নোগ্রাফি দেখতে বাধ্য করে সে।
খুন হওয়ার পর নিরাভরণ মণিকার হাত বাঁধা ছিল বিছানায়। তাকে যে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এ নিয়ে কোনও সংশয়ই প্রায় ছিল না। প্রথম থেকেই আবাসনের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীকে সন্দেহ করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারও করা হয় তাকে। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় রাজকুমার নামে ওই বছর বাইশের যুবক।
জানা যায়, ফ্ল্যাটে ঢুকে ছুরি মাথায় ঠেকিয়ে মণিকাকে ভয় দেখায় সে। পরে তিনি জ্ঞান হারালে তাকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই নিরাপত্তারক্ষী। আরও জেরা করে মিলল বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, খুনের আগে মণিকার থেকে তার মোবাইলের পাসওয়ার্ড জেনে নেয় রাজকুমার। তারপর বেশ কয়েকটি পর্ন ভিডিও ডাউনলোড করে। সেগুলো সে নিজে দেখে এবং মণিকাকে দেখাতে বাধ্য করে।
জানা যাচ্ছে, মণিকা প্রথম যখন এই আবাসনে আসেন তখন এই নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমেই তিনি ঘরের খোঁজ পান। তারপর গাড়ি ধোয়ার অছিলায় মণিকার ফ্ল্যাটে যাতায়াত শুরু হয় রাজকুমারের। এর মধ্যে মণিকার ছাতা হারালে তা উদ্ধার হয় রাজকুমারের ঘর থেকেই। অন্য আবাসিকদেরও নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এজেন্সি বরখাস্ত করে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে। বেশ কিছুদিন এদিক ওদিক ঘুরেও চাকরি জোটাতে পারেনি রাজকুমার। আর তারপরই তার মধ্যে প্রতিশোধের স্পৃহা জেগে ওঠে। মণিকার উপর শোধ নিতেই তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা