ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটি। অবস্থানগত দিক থেকে দুর্গম না হলেও স্রেফ কুসংস্কারের কারণে এই গ্রামের মানুষ পড়ে রয়েছেন কয়েকশ' বছর পিছনে। গ্রামটিতে বেশ কয়েক দশক ধরে কোনো শিশু জন্ম নেয়নি। এর কারণ হলো গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, গ্রামে কোনো শিশু জন্ম নিলে হয় তার মৃত্যু হবে অথবা বাচ্চাটি পঙ্গু হয়ে যাবে। তাই গর্ভবতী নারীদের প্রসবকালীন সময়ে গ্রামের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সন্তানের জন্মের পর তারা নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।
গ্রামের বাইরে একটি প্রসূতি ঘর তৈরি করা আছে, সেখানেই বেশীরভাগ মা সন্তানদের জন্ম দেন। কেউ কেউ অাবার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন।
রাজগড় জেলায় নরসিংগড় মহকুমার অধীন সাঁকা জাগীর নামের এই গ্রামটিতে প্রায় ১২০০ মানুষ থাকেন। বেশিরভাগই গুর্জর সম্প্রদায়ের মানুষ। গ্রামে আছে একটি সুপ্রাচীন মন্দিরও। তবে আশার কথা হলো গ্রামের বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান বয়সে তরুণ, নাম নরেন্দ্র সিং, তিনি চেষ্টা করছেন গ্রামের মানুষদের এই বিশ্বাস ভাঙতে। নরেন্দ্র ও তার আট ভাইয়ের জন্মও গ্রামের বাইরেই হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ