স্বামীকে কতটা ভালোবাসতেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্য স্বামীকে শেষযাত্রায় একা ছাড়তে চাননি। তাই আত্মীয়-পরিজন-পড়শি থাকা সত্বেও এগিয়ে আসেন স্বামী মৃতদেহ কাঁধে নিতে। বাকিদের সঙ্গে নিজেই স্বামীর মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যান একেবারে শ্মশান পর্যন্ত। সচরাচর দেখা যায় না সম্প্রতি এমন ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
পরিস্থিতির কাঠিন্যই মানুষকে ব্যতিক্রমী করে তোলে। যেমন করেছে আঞ্জু যাদব নামের ওই গৃহবধূকে। আর পাঁচটা সাধারণ গৃহবধূর মতোই মেয়ে লোচনকে নিয়ে রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রাম আলওয়ারে বাস করতেন তিনি। স্বামী রাকেশ যাদব ছিলেন গুজরাট পুলিশের হেড কনস্টেবল।
স্বামী সেখানে অবস্থান করায় একাই গ্রামে বাস করতেন অঞ্জু। একদিন আচমকা খবর আসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রাকেশ যাদবের। স্বামীর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন অঞ্জু। মৃতদেহ যখন গ্রামে আনা হয় তখনও চোখের জল বাঁধ মানেনি। এরপর স্বামীর মৃতদেহ বয়ে শ্মশান পর্যন্ত বয়ে নিয়ে যাওয়া, অতঃপর বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তার একমাত্র মেয়ে লোচন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব