জমিতে ফসল রাখার জো ছিল না। আবার সারাদিন মাঠে ঘাম ঝরিয়ে ঘরে ফিরে রেধে রাখা খাবার মুখে তোলারও উপায় ছিল না! গোছানো ঘর এসে দেখতেন লন্ডভন্ড। দলবেঁধে ঘরে-বাইরে সমানতালে অত্যাচারটা চলিয়েই যাচ্ছিল।
বানরের প্রতিদিনের এই অনিয়ন্ত্রিত অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে, শেষমেশ অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ভারতের কেরালার তিরুবনন্তপুরমের এক নারী। মৃত্যুর আগে কোনো সুইসাইড নোট তিনি লিখে রেখে যাননি এটা ঠিক। তবে, লিখতে জানতেন না বলেই তিনি লেখেননি।
কিন্তু যদি লিখতে পারতেন, নিশ্চিতভাবে সেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য কয়েকটি গেছোবানরকে দায়ী করে যেতেন বছর ৫২ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা। তা নাম পুষ্পলতা। জীবিকা বলতে দিনমজুরি।
পুষ্পলতার দুই সন্তান পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে বানরের উৎপাত অনেক বেড়েছিল। ঘরে কিছুই রাখা যাচ্ছিল না। ঘরে ঢুকে সব তছনছ করে ওরা চলে যাচ্ছিল। কখনও ঘরের চাল ভাঙছিল। কখনও মাঠের ফসল নষ্ট করছিল। কিছুতেই ওই বানরদের দৌরাত্ম্য ঠেকানো যাচ্ছিল না। যার জেরেই মা অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম