জানলে হয়তো আপনার গা শিউরে উঠবে যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীচে রয়েছে ৭০০০টি মৃত ব্যক্তির কবর। মিসিসিপি মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে এসেছে এই সমস্ত কবর গুলি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে,এটিই বিশ্বের অন্যতম একটি ভুতুড়ে বিশবিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীচেই রয়েছে একাধিক মৃতদেহের সমাধিস্থল৷
একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, আমেরিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীচে রয়েছে কয়েকহাজার মৃতদেহ৷ একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনেই ছিল মানসিক চিকিৎসালয়৷ ১৯৩৫সাল অবধি বেশ ভালোই চলছিল এই চিকিৎসালয়টি৷ ১৮৫৫থেকে ১৮৭৭সাল অবধি ১৩৭৬জন রুগি ছিল এই চিকিৎসালয়টিতে৷ কিন্তু একটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন করে ব্যক্তি মারা যেতেন৷
কয়েক দশক আগের এই ঘটনাটি সকলের মন থেকে একটা সময় মুছেও গিয়েছিল৷ কিন্তু আচমকা তাদের উপস্থিতি উপলব্ধি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী৷ আর এই সমস্ত কবরের প্রভাব তাদের মধ্যেও পড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে৷
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন থেকেই গত ২০১৩সালে ৬৬টি কফিন উদ্ধার করা হয়েছে৷ এরপরেও আরোও বেশ কিছু ভুতুড়ে কারবার হয়েছে এই বিল্ডিংটির পুন:নির্মানের সময়৷ তবে এখন এই সমস্ত মৃতদেহগুলিকে নিয়ে কি করা যেতে পারে? সেটির সমাধান সূত্র খুঁজছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ এই সমস্ত মৃতদেহগুলিকে তুলে আবার নতুন করে কবর দেওয়ার খরচ বিপুল৷
তাই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই সমস্ত মৃতদেহগুলিকে নিয়ে একটি সংগ্রহশালা বানানো যেতে পারে৷ এর পাশাপাশিই ওই সমস্ত মৃতেদের জামাকাপড় নিয়ে একটি আলাদা সংগ্রহশালা তৈরি করা হচ্ছে৷ যেগুলি সম্পূর্ণভাবেই ছাত্র ছাত্রীদের গবেষনার জন্য সংগ্রহ করা হবে। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার