বিশ্বের অন্যতম বড় শিল্প পর্নো ইন্ডাস্ট্রি। আর এই শিল্প নিয়ে যতই সমালোচনা হচ্ছে না কেন, যত দিন যাচ্ছে এই শিল্পের বাড়বাড়ন্তে বেড়েই চলছে। শুধু তাই নয়, উন্নত বিশ্বে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্যে আবেদনও নেহাত কম জমা পড়েছে না। এ ব্যাপারে আরও কিছু তথ্য জেনে নিন-
* পর্নো তারকাদের রোজগার?
সাধারণ পুরুষ পর্নো অভিনেতারা ছবি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা রোজগার করেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে রোজগারের অঙ্কটা দ্বিগুণ হয়। আর সমকামী পর্নোর ক্ষেত্রে রোজগারটা সাধারণ ক্ষেত্রের তিন গুণ হয়। তবে পর্নোস্টার বা পর্নো তারকরা ঘণ্টায় এক হাজার থেকে ৫ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা রোজগার করেন।
* পর্নো তৈরি কোথায় হয়?
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্নো সিনেমা তৈরি হয় আমেরিকায়। দু'নম্বরে জার্মানি। আমেরিকায় সপ্তাহে গড়ে ৫০০টি ও জার্মানিতে ৪০০টি পর্নো সিনেমা তৈরি হয়।
* পর্নো আসক্তি–
এক সমীক্ষায় প্রকাশ ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অনলাইনে পর্নো দেখাটা তাদের যে কোনও নেশাকে হার মানিয়েছে।
* পর্নো হিসেব–
আমেরিকায় প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি পর্নো ছবি তৈরি হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দুটি রাজ্যে পর্নো ছবি তৈরিতে অনুমতি আছে।
* পর্নো ডট কম-
গোটা বিশ্বে সাড়ে চার কোটি পর্নো ওয়েবসাইট আছে। দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের প্রতি মাসে পেজ ভিউজ সিএনএন, ইএসপিএনের তিন গুণ।
* পর্নো ব্যয়– প্রতি সেকেন্ড পর্নোগ্রাফির পিছনে খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
* চাইল্ড পর্নোগ্রাফি– দুনিয়ার সেরা ২০টি উন্নত দেশ বলেছে তাদের দেশের সেরা দশটা বড় সমস্যার মধ্যে প্রথমের দিকে আছে শিশু বা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি। ভারত শিশু পর্নোগ্রাফি রুখতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে।
* পর্নো দেখা– যে কোনও মুহূর্তে বিশ্বের ৩০ হাজার মানুষ পর্নোগ্রাফিক সিনেমা দেখছেন। ৩৭২ জন মানুষ গুগল সার্চে লিখছেন অ্যাডাল্ট বা পর্নো জাতীয় সিনেমা বা ছবি।
* ব্যবসা– পর্নো ইন্ডাস্ট্রি হলিউড, গুগল, এনএফএল, ইয়াহু, ইবে, আমাজনের থেকেও অনেক বেশি বড় ও লাভবান। সেক্স ইন্ডাস্ট্রি (পর্নো সিনেমা, দেহব্যবসা, স্ট্রিপ ক্লাব, নারী পাচার) হল বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার