তার ‘অপরাধ’ তিনি চোখধাঁধাঁনো সুন্দরী। তাই আর পাঁচজন সুন্দরীর মতো তাকেও উত্যক্ত করা হচ্ছিল ফেইসবুকে। কেউ তাকে সঙ্গ দিতে চেয়ে লিখছিলেন, ‘তোমার সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। কফি খেতে যাবে?’। কেউ আবার নিজেকে নিঃসঙ্গ দাবি করে লিখছিলেন, ‘আমার সঙ্গে সময় কাটানোর কেউ নেই। তুমি আমাকে সঙ্গ দেবে?’ তার ওপরে খোলামেলাভাবে যৌনতার প্রস্তাব তো ছিলই।
বিষয়টি বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন কার্ডিফের তরুণী তারা নাতাশা। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে যখন তাকে একের পর এক অশালীন ছবি পাঠানো হতে থাকে ফেইসবুকে। শেষ পর্যন্ত ভেবেচিন্তে একটা উপায় বের করেন তারা। যারা যারা তার সঙ্গে সময় কাটাতে চেয়েছিল, বার্কিংহামের একটা স্থানের ঠিকানা তিনি সবাইকে দেন। একটি নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিয়ে নাতাশা আলাদা আলাদা করে সবাইকে লেখেন, ‘আপনি আমার সঙ্গে এখানে এই সময়ে আসুন। সকলের মনের ইচ্ছাই পূর্ণ হবে।’
নাতাশার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় জনাচল্লিশ যুবক নির্ধারিত দিন ও সময়ে হাজির হন ওই ঠিকানার রেস্তোরাঁয়। দেখা যায়, সেখানে সকলের জন্য চিরকুটে একটি বার্তা রেখেছেন নাতাশ। তাতে লেখা, ‘এখানে দু’ধরনের লোক আছে। একদল সঙ্গ পেতে চান। একদল সঙ্গ দিতে চান। আপনারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে নিন। যার ইচ্ছা, তিনি সঙ্গ দিন। যার ইচ্ছা তিনি সঙ্গ নিন। দয়া করে আমাকে বিরক্ত করবেন না।’
গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে ওই রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ক্যামেরায়। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই ভিডিও। সকলেই তারিফ করছেন নাতাশার বুদ্ধির। বলছেন, নারীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্যক্ত করেন যারা, তাদের এভাবেই বোকা বানানো উচিত।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২