বাহুবলী। মুক্তির এতদিন পরও শিরোনামের জন্য এই একটা নামই যথেষ্ট। আঞ্চলিকতার সীমা ছাড়িয়ে এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য মাহেশমতী সাম্রাজ্যের রূপোলি পর্দার গাথা। হাজার কোটি যেন কেবল একটি সংখ্যা মাত্র ছবির সাফল্যকে ব্যাখ্যা করার জন্য। সিনেমার পর্দা ছাপিয়ে আসমুদ্র হিমাচলের দর্শকদের মনে বিস্তার করেছে দাক্ষিণাত্যের এই শৌর্যের কাহিনি।
এর নয়া প্রমাণ মিলল ভারতের ওড়িশার নন্দনকানন জাতীয় উদ্যানে। যেখানে সত্যিই জন্ম হয়েছে এক খুদে ‘বাহুবলী’র। নাদুস-নুদুস ছোটখাটো দেহে যে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে পার্ক চত্বরে। তবে কাছে যাওয়া মানা। কারণ ছোট্ট বয়সেই দাপট তার প্রচুর। যখন-তখন যুদ্ধ ঘোষণা করতে প্রস্তুত। এই সবে জন্ম হয়েছে ওড়িশা এই ছোট্ট ব্যাঘ্রশাবকটি। তাতেই নিজের বাহুবলী নাম সার্থক করেছেন সে।
বাঘিনী মেঘা ও বাঘ বিজয়ের সন্তান ওড়িশা জ্যুলজিকাল পার্কের ছোট্ট শাবকটি। তার সঙ্গেই জন্ম হয় আরও তিন ভাই-বোনের। কিন্তু প্রথমটির ছটফটানি দেখেই তাঁর নাম ‘বাহুবলী’ রাখেন উপস্থিত দর্শক ও পার্কের কর্মীরা। তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছে পার্কের আরও এক বাঘিনী স্নেহাও। বাকি শিশুদের নাম রাখা হয়েছে কুন্দন, আয়েশা, সাহিল, ভিকি, সিনু ও মৌসুমী।
তবে সবার আকর্ষণের কেন্দ্র এখন এই খুদে ‘বাহুবলী’। যার টানে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন মানুষজন। এই জনপ্রিয়তার তোয়াক্কা না করে নিজের মেজাজেই খেলাধূলায় মেতে থাকছে ছোট্ট বাহুবলী।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৭