এবার লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে ফসল ফলানো। আগামী চন্দ্রাভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদে ফসল ফলানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন চীনের গবেষকরা। সেই উদ্যোগ সফল হলে চাঁদের মাটিতে ফলবে আলু। এছাড়াও পাঠানো হচ্ছে গুটিপোকার লার্ভা। মানে আলু চাষের পাশাপাশি রেশম চাষের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী বছরই চ্যাং ই-ফোর নামে চন্দ্রাভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তৈরি করা হবে ছোট এক ধরনের সিলিন্ডার। ১৮ সেন্টিমিটার লম্বা এই সিলিন্ডারে থাকছে তিন কেজি ওজনের মিনি ইকো সিস্টেম। যাতে থাকবে আলুর বীজ ও গুটি পোকার ডিম। স্লিক ওয়ার্ম তৈরি করবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও আলুর বীজ তৈরি করবে অক্সিজেন। 'গ্লোবাল টাইমস' ম্যাগাজিনে এমনই জানিয়েছেন এই ইকোসিস্টেমের নির্মাতা জেঙ্গ ইয়নউন।
চীনের চংকিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিনি ইকোসিস্টেমটি তৈরি করা হয়েছে। গ্লোবাল স্পেস এক্সপ্লোরেশন কনফারেন্সে একথা ঘোষণা করেছে চীন।
চংকিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জে জেংজিন জানান, চাঁদের মাটিতে আলু চাষের আগে চলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল বলছে, চাঁদের জমিতে আলুর চারা বেঁচে থাকবে কি না, তা নিশ্চিত হতেই বিজ্ঞানীরা চাঁদে কীটপতঙ্গ পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন।
চীনের স্পেস এজেন্সির সহকারী অধিকর্তা ও দেশটির প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লিউয়ি জানান, এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুদান ও চূড়ান্ত প্রাথমিক অনুমতি পেতে অসুবিধা হবে না। পরবর্তীকালে যাতে চাঁদে মানুষ বসবাস করতে পারে সেই কারণেই পাঠানো হচ্ছে এই ইকোসিস্টেম। এমনই জানিয়েছেন প্রকল্পের প্রধান জে জেংজিন।
চাঁদে আলু ও গুটিপোকার ডিম পাঠানোর পর প্রকল্পের যাবতীয় খুঁটিনাটি ও অগ্রগতি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে গোটা বিশ্বের সামনে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ২০২২-এর মধ্যে ইতিমধ্যেই মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে চীন। এবার এগোল আরো একধাপ।
বিডি প্রতিদিন/১৮ জুন ২০১৭/আরাফাত