যুব বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ আফ্রিকার দেশ ঘানা। নিম্ন আয়ের এই দেশটি ফুটবলে বিশেষ সাফল্য পেয়েছে। আবার চোরাশিকারীদের কাছেও এই দেশ বিশেষ পরিচিত। বিরলতম প্রাণী প্যাঙ্গোলিন পাচারে ঘানা রুট ইতিমধ্যেই চিন্তার কারণ।
নিরীহ প্রাণী। দেখতে অদ্ভুত। ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তারা। মালয় ভাষায় এদের বলে পেঙ্গুলিং বলা হয়। যেখান থেকে এসেছে এদের ইংরেজি নাম প্যাঙ্গোলিন। আঁশযুক্ত শরীরের কারণে বনজঙ্গলে চলাফেরা করা প্রাণীর নাম বনরুই। বিপদের আভাস পেলে আঁশের মতো শক্ত খোলের ভিতর শরীর গুটিয়ে নেয় তারা।
এমনই বিরলতম বনরুই(প্যাঙ্গোলিন) পাচারের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিতি ঘানা। চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম এখানে এতই বেশি সরকারের যেন কিছুই করার নেই।
আইএফএডব্লিউ (International Fund for Animal Welfare)-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, গত মে-জুন মাসে মালয়েশিয়ায় অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে, ৭০০ বন্যপ্রাণীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছিল। এর বেশিরভাগই প্যাঙ্গোলিনের। ঘানা থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাঠানো হয়েছিল এই চালান। আফ্রিকার আরও কিছু দেশেও চোরাশিকারিদের স্বর্গরাজ্য। উগান্ডা, ক্যামেরুন ও আইভরি কোস্ট তাদের অন্যতম।
আইএফএডব্লিউ জানিয়েছে, নিরীহ বনরুই মেরে তা থেকে হাতুড়ে চিকিৎসকরা ওষুধ তৈরি করে। সেই কারণে এফ চাহিদা বেশি। ফলে বনরুই (প্যাঙ্গোলিন) ক্রমশ অবলুপ্তির দিকে। এতে চিন্তিত ঘানা সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন