মানুষের চোখের আড়ালে ছিল জায়গাটি। যাকে বলে 'লোনলি প্ল্যানেট'। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে যখন বরফের খোঁজে ত্রাহি অবস্থা পেঙ্গুইনদের, তখন অ্যান্টার্কটিক পেনিনসুলার ড্যাঙ্গার আইল্যান্ডসে দেখা গেল ১৫ লক্ষেরও বেশি পেঙ্গুইন নিশ্চিন্তে বসবাস করছে।
বিজ্ঞানীরা ওই এলাকার নাম দিয়েছেন সুপারকলোনি। উষ্ণায়ন, দূষণ, যুদ্ধ, সন্ত্রাসের এই বিশ্বে এ অনেক আনন্দের সংবাদ।
অ্যান্টার্কটিক পেনিনসুলায় আদেলি পেঙ্গুইনই বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু গত ৪০ বছর ধরে বরফ মাত্রাতিরিক্ত হারে গলতে থাকায় সেই পেঙ্গুইন কমেছে ব্যাপক হারে। খাবারও জুটছে না তাদের। এমন অবস্থায় হঠাত্ই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন আন্টার্কটিক পেনিনসুলার উত্তরের এই সুপারকলোনি।
মার্কিন স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিদার লিঞ্চের কথায়, 'কয়েক মাস আগেও ড্যাঙ্গার আইল্যান্ডে পেঙ্গুইন দেখা যায়নি। এখন দেখছি ১৫ লক্ষ পেঙ্গুইনের বাস।'
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই জায়গাটি বহু বছর ধরেই প্রত্যন্ত। মানুষের পা পড়েনি। তাই নিশ্চিন্তে বসতি গড়েছে পেঙ্গুইনের দল। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে একদল অভিযাত্রী দেখেন, কয়েকশো পাখি পাথুরে মাটিতে বসে আছে। তারপরেই শুরু হয় খোঁজ। ড্রোনেই ধরা পড়ে পেঙ্গুইনদের অবাক করা বসতি।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৫ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান