আয়ারল্যান্ডে একটা উঠতি ব্যবসা সমুদ্রশৈবালের চাষ৷ স্বাস্থ্য পরিষেবা ও স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার, এই দু`টি বিভাগে সি-উইডের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ আর তারই জের ধরে দেশটিতে একটি ইউরোপীয় গবেষণা প্রকল্পে সাগরের পানির নীচে সি-উইড বা অ্যালজির চাষ করা হচ্ছে৷ এমনকি গবেষকরা ওই সামুদ্রিক শ্যাওলা থেকে যে তেল বের করেছেন, তা জৈব জ্বালানি তৈরিতে কাজে লাগানো যাবে ৷
জানা গেছে, সি-উইডের চাষ করতে কোনো সার লাগে না, চাষের জমি লাগে না৷ কিন্তু মাটিতে যে সব ফসলের চাষ হয়, সেখানে জমি নিয়ে টানাটানি৷ এছাড়া সি-উইড খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে, ছ`মাসেই পুরো গজিয়ে যায়৷ কিছু ধরণের অ্যালজি অর্থাৎ সামুদ্রিক শ্যাওলায় শর্করা আছে, যা বায়োএথানল তৈরিতে ব্যবহার করা যায়৷ অপর কিছু অ্যালজিতে তেল আছে, যা বায়োডিজেলে পরিণত করা যায়৷
গবেষকরা এ ধরনের জ্বালানিকে ব্যবসায়িক দিক থেকে ব্যবহারযোগ্য করতে সচেষ্ট। তাঁরা প্রধানত অ্যালজির বাড় ও অ্যালজিতে তেলের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন৷
গবেষণা থেকে দেখা গেছে, এই শ্যাওলায় মাটিতে চাষ করা ফসলের চেয়ে ৭ থেকে ৩১ গুণ বেশি তেল থাকবে৷
সি-উইড আর মাইক্রো-অ্যালজির কোষে যে তেল ধরা রয়েছে, সেটাকে বের করাই হল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ ল্যাবরেটরিতে গুঁড়ো অ্যালজি প্রচুর পরিমাণ সলভেন্টে গুলে তেলের নিষ্কাশন বাড়ানো সম্ভব, কিন্তু কারখানায় বড় মাপে তা করতে গেলে তার খরচ অনেক বেড়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/১২ এপ্রিল ২০১৮/ওয়াসিফ