ভয়ঙ্কর গিরগিটি তারা। দু'চোখে তাদের হিংস্রতা ঝরে পড়ে। প্রবল শক্তিতে ছিন্নভিন্ন করে দেয় প্রতিপক্ষকে। অবাক বিস্ময় এই বিষ দানব অর্থাৎ কমোডো ড্রাগনকে রক্ষায় কড়া পদক্ষেপ ইন্দোনেশিয়া সরকারের। যে সব দ্বীপগুলিতে এই প্রাণীদের বসবাস সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ করা হচ্ছে দেশটিতে।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের এই কঠিন সিদ্ধান্তে স্থানীয় পর্যটন শিল্প ও তার সঙ্গে জড়িত অনেকের জীবনে নেমে এসেছে দুশ্চিন্তা। ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনীতি। তবুও দেশটির সরকার কড়া ভূমিকা নিয়েই এই ড্রাগনদের রক্ষায় তৎপর।
কমোডো ড্রাগনের মতো প্রাণীদের দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সংবাদটি আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে আলোড়ন ফেলেছে। তবে দেশটির সরকারের দাবি, যে হারে পর্যটক আসছিলেন তাতে এই প্রাণীদের জীবন ধারণে তৈরি হয়েছিল প্রতিবন্ধকতা। সেই কারণেই কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বালি-সুমাত্রার মতো বিখ্যাত দ্বীপ নিয়ে তৈরি ইন্দোনেশিয়ার আরও একটি দ্বীপ রয়েছে কোমোডো। এই দ্বীপ ও সংলগ্ন কিছু দ্বীপে থাকে বিশালাকার বিষাক্ত গিরগিটি শ্রেণির প্রাণী। প্রবল শক্তিশালী ও হিংস্রতায় ভরপুর এই ভয়ঙ্কর প্রাণীদের নাম কমোডো ড্রাগন। মনে করা হয় কাল্পনিক ড্রাগনের তারই উত্তর প্রজন্ম।
জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গিরগিটি জাতীয় প্রাণী। এদের দাঁত ধারালো, লম্বা লেজ এবং এর কামড়ে বিষ রয়েছে। পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার ছোট বড় দ্বীপে তারা থাকে নিজেদের মতো। এদের দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন। ফলে প্রাণীগুলির জীবনে বেশকিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
স্থানীয় প্রশাসক ভিক্টর বুংটিলু লাইসকোডাট জানিয়েছেন, এই দ্বীপ শুধুই নাম কমোডো ড্রাগনের জন্য। মানুষের জন্য নয়। সেজন্যেই এখানে কোন মানবাধিকার কাজ করবে না। কাজ করবে শুধু প্রাণী অধিকার। তিনি জানান, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই দ্বীপ অল্প কিছু দর্শনার্থীর জন্য খুলে দেয়া হবে। দ্বীপের বাসিন্দাদেরও সেখান থেকে চলে যেতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ