নাম তার জেরি ইভানস, একজন মার্কিন নাগরিক। একদিন পার্কে হাঁটছিলেন তিনি। হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ কাচের টুকরোর মতো কিছু একটা তার চোখ পড়ে। ভুলো মনে পকেটে তুলে রাখেন ইভানস। পরে দেখা যায় তুচ্ছ সেই কাচের টুকরোটি এক অতি মূল্যবান হীরার টুকরো। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের মারফ্রিসবোরোর শহরের ক্রেটার অব ডায়মন্ড স্টেট পার্কের।
যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের পার্ক, ঐতিহ্য ও পর্যটন বিভাগ জানায়, পার্কে খুঁজে পাওয়া ওই হীরাটি ৪ দশমিক ৮৭ ক্যারেটের।
ইভানস সেই টুকরোটি আসলে কিসের তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেটি জেমোলজিক্যাল ইন্সটিটিউট অব আমেরিকাতে পাঠান। কয়েক সপ্তাহ পর তাকে জানানো হয়, ছোট্ট এই টুকরোটি হীরা।
ইভানস অবশ্য খুশিতে আত্মহারা হয়ে হীরাটির নাম দিয়েছেন ‘ইভানস ডায়মন্ড’। পরে ইভানস চলে যান পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের জানিয়ে দেন, পার্কে ঘুরতে গিয়ে তিনি হীরা পেয়েছেন।
ক্রেটার অব ডায়মন্ড স্টেট পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ওয়েমন কক্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “আমি খুবই আনন্দিত যে ইভানস তার ঐতিহাসিক হীরাটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত করতে পার্কে এনেছিলেন। আমি অনেক মানুষের কাছে অনেক ই–মেইল পাই, যারা তাদের খুঁজে পাওয়া বস্তুগুলো শনাক্ত করার অনুরোধ করেন। ইভানসকেই প্রথম পেলাম, যিনি জেমোলজিক্যাল ইন্সটিটিউটে পাঠিয়ে শনাক্ত করার পর আমার কাছে এলেন।”
কক্স বলেন, “ইভানসের পাওয়া হীরাটি দর্শনীয়। এটি উজ্জ্বল সাদা রঙের স্ফটিক। অতীতে আমার দেখা এমন অনেক বড় হীরার কথা মনে পড়ে গেল।”
দ্য স্টেট পার্ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালে ৯ দশমিক শূন্য ৭ ক্যারেটের একটি বাদামি হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর ইভানসের পাওয়া হীরাটিই সবচেয়ে বড়। ২০২৩ সালে ওই পার্ক থেকে পাওয়া ৭৯৮টি হীরার নিবন্ধন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ক্রেটার অব ডায়মন্ড স্টেট পার্কে আগে থেকেই হীরা খুঁজে পাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজারেও বেশি হীরা খুঁজে পাওয়া গেছে। যার মধ্যে, শুধু ২০২৩ সালেই পাওয়া গেছে ৭৯৮টি হীরার টুকরা। সূত্র: ইউএসএ টুডে
বিডি প্রতিদিন/আজাদ
