অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রাজনীতি ছেড়ে বেসরকারি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি। গত দশকের দীর্ঘতম সময়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন লিবারেল পার্টির এই নেতা।
মরিসন বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে আসার সময় এসেছে। প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত একাধিক উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করব। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়।
২০২২ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির অ্যান্টনি আলবানিজের কাছে পরাজয় বরণ করেন মরিসন। এরপর অবশ্য তার অবসর প্রত্যাশিতই ছিল। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিলেন রাষ্ট্রের দায়িত্বে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুতে চীনের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক, সাবমেরিনের চুক্তিতে ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বন্দ্বসহ অনেক কিছু নিয়েই বেশ আলোচিত ছিলেন ৫৫ বছর বয়সী মরিসন।
২০১৩ সালে অভিবাসন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে মরিসন প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসেন। এরপর তিনি লিবারেল পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ম্যালকম টার্নবুলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে সমাজসেবা মন্ত্রী এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে জন হাওয়ার্ডের পর মরিসন পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল