আজকাল মোবাইল ফোনে চ্যাটিং থেকে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা ফাঁসের দাবি করেছে চ্যাটজিপিটি। যা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, দাম্পত্য সম্পর্ক কেমন তা জানতে কৃত্রিম মেধার শরণাপন্ন হয়েছিলেন গ্রিসের বাসিন্দা এক তরুণী। চ্যাটজিপিটির সাহায্য চেয়ে স্বামী ও তার কফি কাপের ছবি আপলোড করেছিলেন তিনি। তাতে যা ফল আসে, তা দেখে চোখ কপালে উঠে যায় তরুণীর। চ্যাটজিপিটি জানায়, তরুণীর স্বামী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। সেই ফলাফল দেখে তড়িঘড়ি স্বামীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন তরুণী। স্ত্রীর এই কাণ্ডে হতবাক স্বামী।
গ্রিসের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১২ বছরের দাম্পত্যজীবন তরুণীর। দুই সন্তানও রয়েছে তাদের। ‘ট্যাসিয়োগ্রাফি’র আধুনিক সংস্করণের একটি ট্রেন্ডে অংশ নেওয়ার জন্য চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেন তরুণী। ‘ট্যাসিয়োগ্রাফি’ হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কফি বা চা পান করার পর কাপে যে অবশিষ্ট পড়ে থাকে তা দেখে ভাগ্য বলে দেওয়া যায়। সেই পুরনো রীতি অনুসরণ করে দাম্পত্য সম্পর্কের মান জানতে চেয়েছিলেন স্ত্রী।
এআই জানিয়েছে, তার স্বামী এক কমবয়সি তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত। স্বামীর সেই নতুন সঙ্গীর নামের আদ্যক্ষর ‘ই’। সেই নারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যও বটে। এই প্রেমিকাই তার স্বামীর পরবর্তী সঙ্গী হতে চলেছেন বলে জানিয়েছে চ্যাটবট। এই ঘটনার তিন দিন পর তরুণী স্বামীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন। স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে তাকে বাড়ি ছাড়তে বলেন। পরে আইনজীবীর সাহায্যে বিবাহবিচ্ছেদের নথি প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী।
স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকারে এসে তরুণীর স্বামী জানান, তিনি প্রথমে এই ঘটনাকে মজার খেলা হিসাবে মনে করেছিলেন। তরুণের অভিযোগ, এর আগেও তার স্ত্রী এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। কয়েক বছর আগে এক জ্যোতিষীর কাছে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তার কথা শুনেও অশান্তি করেন। পরে মিটমাট হয়ে যায়। এখন আর কোনও কথাই শুনতে রাজি নন স্ত্রী, বলে জানিয়েছেন তরুণ।
এদিকে, ওই তরুণীর স্বামীর আইনজীবী এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় দাবি করা ‘পরকীয়া’র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি ওই ব্যক্তিকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এছাড়া চ্যাটজিপিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই দাবি আদালতে অগ্রহণযোগ্য বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এছাড়া অভিযুক্ত স্বামীর পরকীয়ার কোনো সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ