ইউরোপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ইটনা সোমবার ফের জেগে উঠেছে। আগ্নেয়গিরির কেন্দ্রীয় মুখ থেকে ভয়ঙ্কর গতিতে ছুটেছে উত্তপ্ত ছাই, গ্যাস ও আগ্নেয় শিলার স্রোত—যাকে বলা হয় পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ (অর্থাৎ উত্তপ্ত গ্যাস ও ছাইয়ের ঝড়)। একসঙ্গে নেমে এসেছে গলিত লাভার ধারা যা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে নিচের দিকে।
ইতালির জাতীয় আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা এই উদ্গীরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা সিসিলি দ্বীপে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরির গতিবিধি দীর্ঘদিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করছে।
তীব্রতা সত্ত্বেও স্থানীয় এলাকায় কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইটনার পাদদেশে বসবাসরত মানুষজন এমন উদ্গীরণে অভ্যস্ত, এবং তাদের জীবনযাত্রায় তেমন বিঘ্ন ঘটেনি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কাউকে সরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আশপাশের শহরগুলোতে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
ইটনা থেকে উদ্গত ছাইয়ের কারণে প্রায়শই আকাশপথে বিপত্তি দেখা দিলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাছাকাছি কাটানিয়া বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। তবে হাওয়া দিক পরিবর্তন করলে ছাই উড়ে গিয়ে বিমানের রুটে পড়তে পারে—এমন সম্ভাবনার দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় স্তরীভব আগ্নেয়গিরি (Stratovolcano—যা বহু স্তরে লাভা ও ছাই জমে তৈরি হয়) হিসেবে পরিচিত মাউন্ট ইটনা কয়েক হাজার বছর ধরে বারবার উদ্গীরিত হয়েছে। এটি সিসিলির অন্যতম আকর্ষণীয় ও প্রতীকি নিদর্শন।
বিজ্ঞানীরা নিয়মিত এই আগ্নেয়গিরির গঠন ও আচরণ নিয়ে গবেষণা করছেন। স্যাটেলাইট ছবি, ড্রোন ফুটেজ ও ভূকম্পন পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে এটনার গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল