৫ম ধাপে আগামী ২৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রায়পুর পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ উত্তেজনা বিরাজ করছে রায়পুরে। বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র পদের একাধিক প্রার্থী তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়াসহ সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন বলছেন সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ইভিএম পদ্ধতিতে রায়পুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৬ জন ও ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৫৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মোট ২৩৬৩১ ভোটার রয়েছে এ পৌরসভায়। নির্বাচনকে ঘিরে এখন পুরো পৌর এলাকা ছেয়ে গেছে ব্যানার ফেষ্টুনে। প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণাও চলছে। তবে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চলছে বেশী। কেন্দ্রীয় নেতারাও এ প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে বুধবার দুপুরে সকল প্রার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধূরী প্রমুখ।
বিএনপি’র মেয়র পদে প্রার্থী ও দু’বারের সাবেক পৌর মেয়র এ বি এম জিলানী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই এখানে। তার প্রচারণায় বাধা দেয়া, কর্মীদের বাড়ীতে গিয়ে হামলাসহ হুমকি ধামকি দিয়ে সরকার দলের লোকজন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে কাউন্সিলরদের নিয়ে মিটিং করে প্রকাশ্য নৌকায় ভোট দেয়ার অভিযোগ তোলেন সরকার দলের লোকজনের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
একই অভিযোগ করেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোবাইল ফোন প্রতিক) অধ্যাপক মনির আহমদ।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছেন সকলেই সমানতালে প্রচারণা চালাচ্ছেন। শান্তি প্রিয় রায়পুরকে তারা অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটে নৌকার বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল