মহান আল্লাহপাকের দরবারে দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে হেদায়েত, রহমত, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লির আবেগাপ্লুত কণ্ঠে ধ্বনিত হয় 'আমিন আমিন'।
দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১টা ১৬ মিনিটে। দিল্লির মাওলানা জোবায়েরুল হাসান আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে হেদায়েতি বয়ান হয়।
আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে সারা দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছুটে যান তুরাগ তীরে। টঙ্গীর তুরাগতীরের মূল ইজতেমা মাঠের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধ্বনিত হয় 'আমিন আমিন'। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মাঠে, মহাসড়কে, ঘরবাড়ির ছাদে, তুরাগের দুই তীরে, কিনারে থাকা নৌকায়, পথে আটকে থাকা বাসে, ট্রাকে, ব্যক্তিগত গাড়িতে বসে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় আখেরি মোনাজাত। অনেকে টিভি সেটের সামনে বসে মোনাজাতে শরিক হন। গুনাহ মাফ ও আত্মশুদ্ধি লাভের প্রত্যাশায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অশ্রুসিক্ত হয়ে মহান আল্লাহর করুণা ভিক্ষা করেন।
মোনাজাত শেষে শুরু হয় ফেরার পালা। বাস, ট্রেন, রিকসা, ভ্যান, পিক-আপ, অনেকে পায়ে হেটে যাত্রা করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আখাউড়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রেলপথে ২৯টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।