কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকে চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই শাখায় লেনদেন বন্ধ রয়েছে।
চুরির ঘটনায় আজ সকালে কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ডিজিএম শেখ আমানুল্লাহ একটি মামলা করেন। এরপর সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ প্রধান শাখায় ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন একে ফজলুল হক। তিনি জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটক করায় লোকবল সংকটের কারণে বর্তমানে লেনদেন বন্ধ রয়েছে।
গতকাল রবিবার কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংকের ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা। রবিবার দুপুরে ভল্টরুম খোলার পর টাকা লুটের বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, ব্যাংকের পূর্বপাশের একটি বাড়ি থেকে মাটির নিচ দিয়ে ব্যাংক পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা হয়। দুর্বৃত্তরা সুড়ঙ্গ দিয়ে ব্যাংকের ভেতরের ভল্টরুমে প্রবেশ করে। রুমের টেবিলের ওপর রাখা ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকাভর্তি ছালার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ব্যারাকের আট পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাব ব্যাংকটি ঘিরে রাখে। ঢাকা থেকে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল কিশোরগঞ্জে যায়। ব্যাংকের পদস্থ কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।