বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদে রাশেদ খান মেমন পুন:নির্বাচিত ও সাধারণ সম্পাদক পদে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচিত হয়েছে। একই সাথে ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ও ২৯ সদস্য বিশিষ্ট বিকল্প কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলে মোট ৭৫ সদস্যবিশিষ্টি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আজ রাজশাহীর শিল্পকলা একাডেমিতে দলের নবম কংগ্রেসের শেষদিনে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির ঘোষাণার সময় সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ রুখে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আজ বিকেলে নব নির্বাচিত হয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় এ ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, দলের নব গঠিত এ কমিটি স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরো সামনের দিকে।
এসময় দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসেন বাদশা প্রথম বারের মত দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞা জানান। একই সঙ্গে রাজশাহীকে উগ্র সাম্প্রদায়িতা ও জঙ্গিবাদের থাবা থেকে রক্ষায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার প্রত্যয় বক্ত করেন।
এর আগে আনুষ্ঠাকিভাবে নয়া কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। রাদেশ খান মেনন নিজেই ওই কমিটি ঘোষণা করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে পলিট ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, যথাক্রমে কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক (প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক), বিমল বিশ্বাস, নুরুল হাসান, হাফিজুর রহমান ভুইয়া, কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদ, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, মনোজ সাহা, নুর আহমদ বকুল, ইকবাল কবির জাহিদ, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, মস্তফা লুত্ফুল্লাহ।
ওই কমিটিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তপন দত্ত, জাকির হোসেন হবি, এনামুল হক এমরান, জ্যোতি শংকর ঝন্টু, অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, শেখ সাইদুর রহমান সাঈদ, লিয়াকত আলী লিকু, নজরুল হক নীলু, মোসাদ্দেক হোসেন লাবু, নজরুল ইসলাম হক্কানী, করম আলী, সালেহা সুলতানা, নুর মহম্মদ খান, রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, আনোয়ারুল হক বাবলু, শরীফ শমসির, নজরুল ইসলাম অনিল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, সিকান্দর আলী, হবিবর রহমান, শেখ সিরাজুল ইসলাম, অরুনা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ, রফিকুল ইসলাম, দীপংকর সাহা দিপু, সোহরাব হোসেন, হাজী বশিরুল আলম।
আর বিকল্প সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, আবদুল খালেক, আবু সাঈদ মিঞা, আফরোজা, পাভেল ইসলাম মোফাজ্জেল হোসেন মনজু, আমিরুল হক আমিন, মজিবর রহমান, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম, জাকির হোসেন, বেলা রাণী দে, রোমেনা আলম, আকসির এম চৌধুরী, বজলুর রহমান মাস্টার, জাকির হোসেন রাজু, আবুল হোসেন, মোস্তফা আলমগীর রতন, সাববাহ আলী খান কলিন্স, ইন্দ্রানী শম্পা, আব্দুল মজিদ, আকসির এম চৌধুরী, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, সদরুল ইসলাম, এন্তাজুল হক বাব, তুষার কান্তি দাস, মিনা মিজানুর রহমান, রেজাউল করিম রেজা, রবিন সরেন, সরজিত সেন, মিজানুর রহমান।
এছাড়া অনিল বিশ্বাসকে চেয়াম্যান করে কন্ট্রোল কমিশন গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্য হলেন, বিশ্বজিৎ বাড়ৈ ও আব্দুল হক। শফিউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান, তপন দত্ত ও মোহাম্মদ তেৌহিদকে সদস্য করে আলাদা অডিট কমিশনও গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল থেকে রাজশাহীতে চারদিন ব্যাপী ওই কংগ্রেস শুরু হয়। এতে সারাদেশ থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির ৬ শতাধিক প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষক অংশ নেন। ওছাড়াও কংগ্রেসে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকার কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা অংশ নেন। এর আগে ২০০০ সালে রাজশাহীতে কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে আন্তর্জাতিক সংগীতের মধ্যদিয়ে কংগ্রেস শেষ হয়।