সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ নির্বাচনে সদর ও বন্দরের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম রয়েছে। তবে ভোটারদের অভিযোগ- ভোটার নম্বর না পাওয়ায় তারা ভোট দিতে পারছেন না। এছাড়া কয়েটি কেন্দ্রে এস এম আকরামের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রিটানিং অফিসার এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভোট সুষ্টু হচ্ছে। ভোটার নম্বর পাওয়া নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ভোটর নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব প্রার্থীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সদরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। যারা এসেছেন তারা ভোটার নম্বর পাচ্ছেন না। রেখা সাহা নামের এক ভোটার বলেন, ২ ঘন্টা থেকে ভোটার নম্বর খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না। জানি না ভোট দিতে পারবো কি না। এভাবে অন্তত ৫০ ভোটারকে নম্বর খুঁজতে দেখা গেছে ওই কেন্দ্রে।
বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে আসা ভোটাররা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হচ্ছে না।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর শোনা গেলেও সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এদিকে ৩৮নং আলীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৮৭ জন। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও শান্তিপূর্নভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
ঘাড়মোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মেহেদি হাসান জানান, ওই কেন্দ্রের মোট ৭টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬২২ জন। ঘণ্টায় গড়ে ৩’শটি করে ভোট পড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঘাড়মোড়া কেন্দ্রে ভোট দেওয়া ষাটোর্ধ জিয়া হক ও মজিবর জানান, শান্তিপূর্ন ভোট হচ্ছে। আমাদের ভোট দিয়েছি। দেখি আল্লাহ কাকে পাশ করায়।
শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ে এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪০৫ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১১ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪ জন। আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪১টি এবং ভোটার কক্ষ ৬৭৪টি। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতিটি বুথে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, দুইজন করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা আছেন। কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চারজন পুলিশ, দু’জন আনসারসহ মোট ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ জন আনসার সদস্য লাঠি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন পুলিশ এবং দুজন আনসার অস্ত্রসহ মোট ১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।