কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও অর্থ লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত বদির ব্যাংক হিসাবে নানা ধরনের অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ওই তথ্য চেয়ে বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।
দুদকের অনুসন্ধানে সাংসদ বদির বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। যার কারনে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী ও তার আয়কর রিটার্নের তথ্য পর্যালোচনা শেষে তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।
যার মধ্যে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদ গোপণ করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখাতে কম মূল্যের সম্পদকে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি দেখানোর দায়ে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়।
হলফনামায় তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মোট ৫ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৮ টাকার সম্পদের হিসাব দেন।
কিন্তু তার আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনা করে মোট ১৬ কোটি ৬ লাখ ৯৬ হাজার ২০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পায় দুদক। যাতে তার গোপন করা সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা।
এছাড়া সম্পদ বিবরণীতে আমদানি ব্যবসার কথা উল্লেখ করলেও উক্ত ব্যবসায় লাভ-ক্ষতির বিষয় সঠিকভাবে দেখাতে পারেনি। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে একটি জমির দাম এক বছরের ব্যবধানে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখিয়ে গোপণ করেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা। এতে ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৫ টাকার একটি জমি ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিক্রি দেখিয়েছেন তিনি। এখানে তিনি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা গোপণ করেছেন বলে প্রমাণ পায় দুদক।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ জানুয়ারি ২০১৫/আহমেদ