রাজধানীর ফকিরাপুল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় নারী পুলিশ বহনকারী বাস উল্টে আহত হওয়া পুলিশ সদস্যদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ওই সংঘর্ষে দুই নারী পুলিশ নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।
আজ রবিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে নারী পুলিশ বহনকারী একটি বাসকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অবরোধে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে ওই নারী পুলিশদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পর সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার আহতদের খোঁজ-খবর নেন।
আহতদের খোঁজ-খবর নেওয়া শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফটকে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, গাড়িতে মোট ৩২ জন নারী পুলিশের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। ২৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জন রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ও ৭ জন ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ দুর্ঘটনাকে মর্মান্তিক উল্লেখ করে আইজিপি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের সুচিৎকিসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলেও জানান আইজিপি।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, কনস্টেবল মুনিরা ও আকলিমা।
মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মোট ৯ জনকে। এর মধ্যে মুনিরা ও আকলিমা মারা যান। জিয়াসমিন, সীমা, শাহানাজ, আলফা, ফরিদা, সোহাদাসহ ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে রাজাবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৯ নারী কনস্টেবল। তারা হলেন লাইলী আক্তার, নাজনীন আক্তার, মনিকা, শিল্পী, সালমা, আফরিন, মাহফুজা আক্তার, জেসমিন, মিতালী, নীলিমা, ববিতা, ঝুমা রানী, কাবেরী নন্দী, রহিমা, রুনা আক্তার, আলপনা, দ্বীপ্তি মণ্ডল, ফাতেমা ও আঁখি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার মো. ওয়াইশ কুরুনী। তিনি বলেন, আমরা এখানে ১৯ জনকে চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে ইতোমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ জানুয়ারি ২০১৫/আহমেদ